কি যে হয়েছে আমার।
মনে কোনো রঙ নেই।
ডায়রির পাতা গুলো যেনো ঝাপসা,
ছুতেই ইচ্ছে করে না।
কলমটা হাতে নিলে হাতটা অবশ।
শরীরটাই যেনো হাজারো বেরামের বাস।
হৃদয় যেনে চিরো রুগী।
চোখ যেনো অলস,থাকতে চায় বন্ধ বেশে।
ভেতর থেকে মাঝে মাঝে বলে চল যাই,
না ফেরার কোন দেশে।
হৃদয় ঘরে শুধু হাহাকার।
ভেতরটাই আমি নেই, প্রচন্ড শূন্য।
একাকীত্বের ছায়া।
স্বপ্নে যেনো তুমি না থাকার কান্না।
কবিতা গুলো মাঝ পথে,
শেষ পথটা হয়নি তাদের হাটা।
মাঝে মাঝে, একা বসে,কি যেনো ভাবি।
আয়নার সামনে দাড়াই চিনতে পারিনা,
কে ওটা এতো অগোছালো রুক্ষ মরুভূমি।
আলমারি তে পড়ে আছে স্বাদের শাড়িগুলো
দেখা হয়নি তাদের সাথে অনেক দিন।
পাশের ড্রয়ারে ঝুমকা, চুড়ি,
বলছে তারা, কিরে ভালোবাসাই আড়ি।
আমি তো আর পারছিনা ডাকছে আমায় অন্ধকার বাড়ি।
ঘৃণা জমে কঠিন শিলা।
মনে যেনো শান্ত।
বিরক্ত এতো নিজেকে নিয়ে,চেনা পথো লাগে কঠিন।
ঘন কালো ঝাউবনে একা আমি মাঝ খানে,
কাটা বিধে রক্ত মাখে আলতা পায়ে।
ঝড়া পাতা লালচে রঙিন।
পঁচা গলা গন্ধে বিষাক্ত বাতাস।
নয়ন তরে খরা জমে কঠিন ফাটল বুকে।
আলো যেনো ভয় লাগে।
অনূভুতিরা আজ হাহা করে খিল খিলিয়ে হাসে।
ভিতর থেকে আমি বলি বদ্ধ থাক অন্ধকারে।
বেকুলতার হাসফাসিয়ে বলে ক্লান্ত মনে,
আলের সীমানা ছাড়িয়ে কেন চাস অন্ধকার?
অন্ধকার যে আমায় ছাড়তে নারাজ।
আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে তার ভালোবাসায়।
অন্ধকার বেশ ভালো
0 Comments