গড়ে ছিলো সমকোণী দেওয়াল।
বন্দী অনুভূতির কারাগার।
ফিরতে চাই, নেই ফেরার পথ জেনা।
পূর্নিমার জ্যেতিময় আভরন ছুঁয়ে ছিলো,
তোমার সুপ্ত হৃদয় বাসনা।
রাত্রির সুবাসিত লহো কামিনী সুগন্ধি ছড়ায়।
আমার আবাস আঙ্গিনায়।
কোনো এক প্রচিন কালে,
মিলন হয়েছিলো আমাদের।
জেগেছিলো চাঁদ তারা।
প্রহরী ছিলো জোনাকী পোকা।
আকাঙ্ক্ষারা সব খুলে ছিলো দ্বার।
ফুটে ছিলো রাতের রানি।
শ্রাবণ ধারা ঝড়ে ছিলো আবেগ মনে।
কত জ্বল লুকানো ছিলো,
তারা জমে ছিলো দু নয়নে।
নিশি রাতে অন্ধকারে ঝড়ে ছিলো অঝোর ধারায়।
দুঃখের পরে সুখের ধারা।
পুড়িয়েছিলো হৃদয় জ্বালা।
যে গাছে ফুটেনা ফুল,ধরেনা ফল,
তোমার নিমন্ত্রণে ফুটেছিলো,
তোমার পানে চেয়ে চেয়ে।
তোমার চেনা সুরে আমার হারানো সকল ইচ্ছে,
মেনেছিলো তোমার কাছে হার।
শুনেছিলো চুপটি করে,তোমার বীনের শুরু।
উঠান পারে প্রদিব জ্বলে,
তোমার ওই দক্ষিণা বাতাসে নিভে ছিলো শিখা।
আমার জরাজীর্ণ হৃদয় মেতেছিলো ফাগুন ডাকে।
তোমার আসার বাদল দিনে,বসে ছিলো বর্ষা রাতে।
মরন জালায় ভুগেছিলাম এনে ছিলে প্রজাপতি।
বেঁধে ছিলে তোমার ঋণে।
হাসিতে তোমার মুক্তা ঝরে, আমার নয়ন জ্বলে।
টিনের চালে নুয়ে ছিলো গাছে পাতা,তুমি এসেছিলে।
মনে পরে কি সেই বেলা?
একে ছিলে চিত্র বসে,
প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলে ভুলবেনা এই ভবে।
খাঁচা ছাড়া সকল পাখি।
আমি একা বসে সুর তুলি।
থাকুক না কিছু সৃতি, একলা আমি যন্তে রাখি।
দুপুরে ঘুঘুর ডাকে।
আমি রইবো তোমার ফেলে যাওয়া গানের সুরে।
0 Comments