সেদিন তুমি বোঝনী আমাকে
নাবিলা তাজনূর নোহা
বড্ড বেহায়া ছিলাম আমি,কি করিনী তোমার জন্য,
কার না কার কাছে তোমায় নিয়ে মিনতি করেছি, তোমাকে পাওয়ার জন্য ,
মসজিদ, মন্দির, আকাশ, জমিন,পাহাড়, পর্বত,নদী,
আর আছে শত শত মিনতিগার।
সকলের দারে দারে আমি ভিক্ষা চেয়েছি তোমাকে পাবো এই আশায় ।
কি করিনি তোমার জন্য একটু দেখার জন্য,
বাড়ি থেকে কোচিং এর নামে মিথে বলে, কতো ঘন্টা দারিয়ে থাকতাম দেখবো বলে।
কখনো ঝুম বৃষ্টিতে আবার কখনো দুপুরে কড়া রোদে,
দাড়িয়ে থাকতাম তোমার অপেক্ষায়।
নিজের টিফিনের টাকা তোমায় দিতাম,
হাত খরচের টাকায় তোমার আবদার মিটাতাম।
তখন তুমি আমার টাকায় অন্য কাউকে খুশি করতে ব্যস্ত।
আমি তখন চুপটি করে দেখতাম।
কতো কথা যে মরে গেছে বলা হয়নি,
কত চিরকুট যে আমার বইয়ে ভাজে ছিলো,
তোমাকে দেওয়া হয়নি।
আজ সেগুলো হয়তো ঝাল মুড়ি বিক্রি করা মামার কাছে।
হয়তো কোনো প্রেমিক বা প্রেমিকা বিকেলে আড্ডায় আমার চিরকুট তারা হাতে নিয়ে পড়বে
নয়তো বা নষ্ট হয়েছে বলে ফেলে দিবে ডাস্টবিন।
সেদিন সময় টা তোমার ছিলো তাইতো ছুড়ে ফেলতে আমাকে, তোমার একবিন্দু কষ্ট হয়নি,
আফসোস সেদিন তুমি বুঝতে পারনি।
আজ শুনলাম তোমার কোন যানি এক বন্ধু বললো,
তুমি নাকি আমাকে নতুন করে ফিরে পেতে চাও।
তুমি নাকি ভিক্ষা চাও আমাকে,
আফসোস আমি এখন অনেক বড় মাপের মানুষ
তুমি বা তোমার মিনতি আমাকে ছুতে পারবেনা।
সেদিন আমি মিনতি করেছিলাম বলেছিলাম রেখে দাও, তোমার ঘরের এক কোনায় পরে থাকবো ঘুলা মায়লার সাথে,
তুমি রাখনি ঝেড়ে ফেলেছিলে জিবন থেকে,
আজ আমি বড্ড কঠিন তোমাকে করুণা করার মত কিছু নেই আমার ঝুড়িতে।
আমি কবিতা ভালো বাসতাম,
কোনো এক দিন বায়না করেছিলাম, বই মেলায় যেতে, আবদার করেছিলাম একটা বই নিয়ে দিতে,
তুমি আমাকে ঝারি দিয়েছিলে আর বলেছিলে,
কবিতা তোমার ভালো লাগেনা,
আর মেয়েদের নাকি অতিরিক্ত কিছু ভালো না।
আজ যখন আমি কবিতা লিখি কেনো চোরের মত লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ো।
এখন এই সময়টা আমার,
কলম আর কবিতার খাতাকে নিজের সঙ্গী করে নিয়েছি,
লিখতে চাই এক পৃথিবী কল্পনার নীল কালিতে,
গল্প লিখি নতুন করে জীবনটাকে রঙিয়ে নিতে।
0 Comments