আমার কবিতা

 




F নীলকাব্য 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

----------------------------

 

ছোটো ছোটো  বর্ণের সাথে বর্ণ মিলে তৈরি  হয় শব্দ। 

শব্দের সাথে শব্দ  মিলে তৈরি হয়  বাক্য। 

বাক্যের সাথে বাক্য মিলে হয় ছন্দ। 

ছন্দের সাথে  ছন্দ জুড়ে  তৈরি  হয় কবিতা।

আর অনেক কবিতার সমারোহে তৈরি হয় কাব্য। 

ছোটো ছোটো  অনুভূতি থেকে প্রকাশ  পায় আবেগ।

আর এই আবেগ  থেকে তৈরি  হয় ইচ্ছে। 

ইচ্ছে আশা মিলে মিশে তৈরি  করে এক অদ্ভুত  অদৃশ্য শক্ত  বন্ধ,  

জুড়ে যায় নীল কাব্য। 

হয়তো কব্যের  বেদনা নীল। 

নয়তো বা নীল কাব্যের সুখের আলো।

আবছায়া জানালার কাচের রঙ নীল।

শাড়ির  রঙ হয়তো কব্যের নীল।

কাব্যের সাধের আবেগ মাখা ডাইরিটা  নীল।

নীল  হয়তো কাব্যের  ভালোবাসা। 

নীল হয়তো কাব্যের ডাইরি  শেষ  গল্পটা। 

অথবা নীল কাব্যের হৃদয় বাসনা।

নীল হয়তো কাব্যের সর্গের মেঘ।

কাব্য  হয়তো   নীলের  বিলাশিতা।

নয়তো বা নীলের কাব্য  প্রয়জনে প্রিয়জন।

কাব্য  হয়তো নীলের কামনা।

কাব্য  ছাড়া   নীল অপূর্ণ। 

নীল ছাড়া  কাব্য  অসম্পূর্ণ। 

নীল কাব্যের উপমা।

কাব্য  নীলের ছায়া।

হয়তো এভাবেই  তারা একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞ।

নয়তো এরা একে অপরের  বিপরীত। 

হয়তো  এরা  একে অপরের  শক্তি। 

নয়তো এরা  ভালোবাসা। 

হয়তো নীল কাব্য  একে অপরের  আঁধার। 

কাব্য  নীলের খাম খেয়ালি,রঙ মাখা মাখি, 

বিন্দু  বিন্দু  ভালোবাসা  রাগ অভিমান  থেকে  

মিলে যায় নীল কাব্য। 

নীল আর কাব্য  জুড়ে  তৈরি  নীলকাব্য। 

আর রংধনুর সাত রঙা ছোটো ছোটো অনুভূতি  আশা,

ইচ্ছে ,থেকেই হয়  মহাকাব্য রচনা ।

 

 

F নীল পাখি 
@নাবিলা তাজনূর নুহা 

----------------------------

 

ওরে   আমার  নীল পাখি,, 
বসে যাও একটু আমার
  মায়ার ডালে।
যদি বসো চুপটি করে,
দিবো তোমায় কবিতা ঝুড়ি
  ঝুড়ি।
আমি তহ খাঁচা
  হতে চাই নী,,
কেনো তুমি
   ভয়  পাও। 
তোমাকে তহ আমি খোলা আকাশে
  উন্মুক্ত  করে দিয়ে 

আমি  অনন্তকাল অপেক্ষা  করবো।
খেপে
  যাওয়া  নদীর    যেমন  বয়ে চলে

আবার মোহনায় ফিরে  আসে।
বছর
  শেষে  পাতা ঝড়ে যাওয়া গাছে, 
বসন্ত
  আসবে নতুন  কুশি গাজাবে এই আশায় বৃক্ষ।
আমাবস্যা
  শেষে পূণিমার   জোছনায় ভিজে আকাশ। 
আমি আছি,
  জানি আমি, তুমি আসবে, 
আর
  আমার  প্রেমে গা মাখাবে।
তোমার
  কপালে আমার  অপেক্ষার চুমু  একে দিয়ে,

আলিঙ্গন  করে রেখে দিবো।
আমি ভালোবেসেছি, শিকল হতে চাইনি।
শুধু রেখেদিতে চাই সেই
  মূহুর্ত টাকে।
তোমার
  চোখে আমাকে পাওয়ার  সেই অবাক  চাহনি টাকে।
আমার
  মাঝে   তুমি টাকে খুজে নিতে।
আমাকে এক মূহুর্তের
  জন্য  হারিয়ে  ফেলার ভয়ে।
বুকে তোমার
  শক্ত  করে বেধে রাখার  টুকু।
অপেক্ষা
  করবো  সেই রাতের  জন্য। 
যে
  রাতে তুমি নতুন করে  মাখতে চাইবে প্রেমে আমার।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 

 F ভাবনা

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

----------------------------------

 

আমার  না তোমার  মত ভাবনা  টা  ঠিক  আসেনা।

তোমার  আমার  যুক্তি টা কেনো যানি  ঠিক মিলেনা।

আমি তোমার  মত করে ঠিক বুঝতে  পারিনা আমার মনের কথা।

আমি তোমার  মত করে কথা বলতে পারিনা।

আমি তোমার  মত করে ছন্দে  ছন্দে মনের  ইচ্ছে  গুলোকে 

মুক্ত করে দিতে পারিনা।

আমার  না ঠিক তোমার  মত কবিতা  টা   আসেনা।

আমি না ঠিক তোমাকে বুঝতে  পারিনা। 

এই তুমি  আবেগে দিচ্ছ ডুব,

আবার  এই তুমি গীষ্মে দুপুরে  কড়া রোদ।

এই তুমি ধরতেছো হাত,

আবার  এই তুমি ছাড়ছো হাত। 

আমি ঠিক  বুঝিনা তোমাকে।

ভাবতে  ভাবতে  ভাবনাতেই থেমে যাই।

এই মনে হয় তোমাকে বুঝতে পেরেছি,

তোমার  মন ছুয়েছি  আবার এক নিমিষে হারিয়ে যাই আমি

না বুঝার তলদেশে।

আমি না ঠিক তোমাকে তোমার  মত করে বুঝতে  পারিনা।।

 

 

 

 

 F হিসাব  খাতা

@  নাবিলা তাজনূর নোহা

------------------------------------

 

মেয়টি ভালোবাসতো সবুজ  কে।

তাই তহ চিরকুট  পাঠালো অতিবো আগ্রহে। 

ছেলেটি ছিলো ভিষন  দামি, 

নিলো সে চিরকুট  খানি  যন্তে কুড়িয়ে।

ছেলেটি ছিলো  বড্ড  অভীমানি,

গ্রহণ  করলো ভালোবাসা খানি।

চিরকুটের প্রতি  উত্তরে লিখলো সব  অভিমানী  বাক্য,

মিলবেনা কোনো আশা ছেলেটার মন টা তাই তহ বলে।

মেয়েটি তহ চায় নীলপরি  হতে। 

তাই তহ বারং বার  চেষ্টা  করে  তার মনের রাজ্য ছুয়তে।

ছেলেটি ছিলো  ভিষন  দামি। 

বার বার  অবহেলিত  হয়ে  ফিরে  আসে  মেয়ে টি। 

অভিমানের খাতা  গুছিয়ে  নিয়েছে  সে  কবেই। 

ছেলেটির তহ বড্ড  পিছু  টান। 

রেখেছে  জমিয়ে  অতীত  সে তার বুকপকেটে।

দিন গেলো মাস গেলো,

দেখতে  দেখেতে পার হয়ে গেলো অনেকটা  সময়

আজ অপেক্ষায় মেয়েটি।

দিন পেরিয়ে  সন্ধ্যা  এলো বলতে বলতেই

অন্ধকার  একটা  রাত এলো। 

কেনো যানি  মেয়েটির  মনে  হলো,

এই বুঝি  ছেলেটা  ফিরে  এলো।

অন্ধকারে যে মেয়েটি  বড্ড ভয় পাই। 

মেয়েটার মন ভীষণ  অবুঝ 

তাইতো  আনমনে   ভাবে  তার কথা। 

ছেলেটি তখন  হিসেবের খাতা নিয়ে  বসেছে,

মেয়েটির কি কি  খারাপ  গুন  আছে না ভালোবাসার। 

আজ সে  অভিযোগের অভীমানের খাতায় হিসাব  কসে। 

মেয়েটি তাকে  কখন  কি দিয়েছে।

আর মেয়েটি অভিযোগের খাতা চুকিয়ে  ফেলে দিয়ে,

আকাশের পানে চেয়ে  দীর্ঘ  শ্বাস ফেলে,

বলে  ওঠে  সে  ফিরে  আসবে। 

সে ফিরে  আসবে?

 

 

 

 F নামটি দিলাম  গাছের  পাতায়

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

-------------------------------------

 

তোমার  নামট দিলাম গাছের  সবুজ  পাতায়। 

তুমি  আমার  লোডশেডিং  এর  চাঁদের  আলো । 

তুমি  শীতের  সকালে  কুয়াশার  ঝাপসা  চাদর  আমার। 

তুমি ঘোরের শেষ , শিতল অনুভূতির ছোঁয়ার ছল।

আলো ভরা দিন, সূর্য  তাপে গরম মাখা রোদ,

তুমি আমার  রুপসায়নের জল।

তোমায় দিলাম  মুক্ত আকাশে  ডানা ঝারার ছল।

অল্প  অভীমান, আর রক্ত  ঝলমল।

আমার  কবিতায় ছন্দে,

দিলাম তোমায় গাছের পাতা নাম।

তুমি নীলা পাখির  শক্ত  ডানায় মুক্ত আকাশে  ছড়ার সুখ। 

এটা তোমায় দিলাম সবুজ  পাতা।

তুমি তোমার  নয়ন দিয়ে  দেখার নীলা পাখির  সুখ।

তুমি নরম ঠোঁটে  সেচ্ছা  হাওয়ার বেগে,

ছুয়ে যাওয়ার  অনুমতি তোমায় দিলাম। 

তুমি আমার আনমনে  একলা পাখির  ঝাঁক।

তোমায় নিয়ে   বানানো মায়ায় বসত ঘরটা  দিলাম। 

আমার  ডায়েরি ভাজে তোমার  নাম,

এটা তোমায়  দিলাম।

 

 

F কল্পনা  রাজ্য 

@ নাবিলা তাজনূর  নুহা

--------------------------------------------

 

তোমাকে  পাওয়ার অসুখ  আমার ,

এই জন্মে ভালো হবেনা। 

যত তোমার  কাছে  যাই কেনো যানি,

তোমাকে আরো কাছে পাওয়ার, ইচ্ছেটা বেড়ে যাচ্ছে।

দিন যত অতিবাহিত  হয় তোমাকে  পাওয়া,

লোভ  টা বড্ড  বেড়ে যাচ্ছে। 

মান  অভীমানের শেষে  যখন তুমি,

তোমার   বুকে রেখে দাও মনে হয়। 

বিলাস বহুল  জীবন  আমার  কাছে  তুচ্ছ। 

তোমার  মায়া মায়া চোখে যখন  দেখতে  বায়না করো,

নিজেকে মনে হয়  চাঁদনী রাত।

একটু একটু   করে  যখন  তুমি  কাছে আসো,

আমাকে আদর করার জন্য। 

অনুভূতিরা খোলা আকাশে 

ডানা খোলে উড়ে  বেড়ানোর থেকেও অনেকটা শান্তি। 

কোনো  কিছুর  বিনিময়ে   আমি পাইনা সাস্তি।

মাঝে  মাঝে  ইচ্ছে  করে  ভীষণ,

সব নিয়ম  ভেঙ্গে দেই।

ছুটে  যাই তোমার  কাছে। 

তুমি  এখন  বড্ড জালাও কল্পনায়,

সব সময়  বায়না করো।

মাঝে  মাঝে  তুমি  আমাকে ,

তোমার  শরীর  ছোঁয়ার পারমিশন  দাও।

আমার তো  ভীষণ লোভ তোমাকে কাছে পাওয়ার। 

এখন তো আমার বুকের  বেথ্যাটা  বেড়ে গেছে তোমাকে ভেবে,

এই অসুখ  বোধায় ভালো  হবার  নয় আমার। 

তোমার  শক্ত  আবরন ছেড়ে, 

যখন  অবুজের মত  জেদ  করো কাছে পাওয়ার। 

তোমায় নিয়ে  যত অভিযোগ  আমার  সব ভুলে যাই। 

যখন তুমি বায়না  করো আমার বুকে রাখতে চাও মাথা,

অতীতে তোমার  করা  অবহেলা  উড়ে যায় একনিমিশে। 

তোমাকে  পাওয়ার ইচ্ছে বড্ড  বেড়ে যাচ্ছে  দিনে দিনে।

তুমি যখন বৃষ্টির  মতো পরশ ছড়িয়ে,

আমাকে নতুন করে ফুটিয়ে  তোলো,

তোমার বুকে আমার  প্রশান্তি ভরসার  ছায়াতল। 

আমি তোমায়  ভালোবাসি,

তুমি কতোটা  বাসো এসবের  হিসাবে  কখনোই আমি  চাইনা।

 আমি তোমাকে আমার বুকের বাম পাশে রাখি।

শুধু  জানি তুমি আমি  মিলেই, 

আমরা একান্ত  অবিচ্ছেদ্য এক বাধন

 

 

 

 F  প্রকৃতির খেলা

@ নাবিলা তাজনূর নুহা

----------------------------------

 

চার দেওয়ালে বন্দী  আমি অশান্ত মন।

হটাৎ  করে  পড়লো চোখ জানালার পাশে।

সত্যি  কতো সুন্দর  এই প্রাকৃতি।

ভরে গেলো মনের নদী। 

গাছগুলো সব দাড়িয়ে আছে তাও আবার  এক পায়ে।

অল্প অল্প হাওয়ায় যেনো দোলায় তাদের  শরীরে। 

ডালে ডালে পাখির  বাসা।

পাখির  ছানা করছে সেথা কিচিরমিচির আর রং তামাশা। 

আবার  দেখি নাম না জানা পাখি করছে তারা লাফা লাফি। 

হাওয়ার ঠেলায় করছে তারা মাখা মাখি।

গাছের ডালে পাতার  মেলায়,

দুলছে তারা আপন হেলায়।

 আকাশটা খেলছে  যেনো বাহারী সাজে,

তুলোর মতো ভেসে বেড়ায় নীল আকাশের মাঝে।

হঠাৎ করে হলো যে মেঘের অভিমান। 

তাই তো সে মুখ করছে কালো।

ঔই পাশ থেকে দেখি,বৃষ্টি  এলো মান ভাঙ্গাতে।

জ্বল পরে টিপিটিপ।

বৃষ্টির জলে ভিজে যে সব হাঁসের  পাল, 

পেক পেক করে তারা করছে হরতাল।

ভাসছে তারা দিঘীর জলে আপন মনে ঢেউয়ে ঢেউয়ে। 

কচুগাছের পাতায় পরছে পানি,

ধরে রাখে সে পাতা অনেক খানি।

একটু পরে হোচট খেয়ে ফেলে দেয় পানি,

ভিজে যায় যে বেঙ্গের বাড়িখানি।

বৃষ্টি শেষে যেনো ধুয়ে দিলো সব আবর্জনা,

থেমে গেছে যে সব কোলাহল।

সত্যি  কি অপূরূপ এই প্রকৃতির সুন্দর।

সৃষ্টি করেছে যে মহান কারিগর। 

উজাড়  করে দিয়েছে সব ভালোবাসা তার।

আনাচে-কানাচে, আলীতে-গলীতে,

পলকে-পলকে রয়েছে যে কত সৃষ্টি। 

তাই তো নাম দিয়েছে মায়াভরা  প্রকৃতি।

 

F শাসন

 @ নাবিলা তাজনূর নুহা 

-----------------------------------------

 

নীল তোমাকে ছেড়ে যাওয়ার  ক্ষমতা আমার  নেই। 

 যতবার ভাবি ছেড়ে যাবো ঠিক  সেই  মূহুর্তে 

তোমার সৃতি ভেসে ওঠে অন্তরে।

শান্ত  চারিপাশ  অন্ধকার রাত  বৃষ্টি  হয়েছে,

ভেজা মাটির গন্ধে যেনো তোমায় ডাকি। 

জঙ্গলের মাঝ দিয়ে  উকি দেয় চাঁদের আলো।

পলক ফেলতেই দেখি তোমার  মুখ।

আবছায়া  দেখি তোমাকে,

তাই তো বার বার চোখ ঘোসা দেই

দেখবো তোমায় চাঁদের  আলোয়।

তুমি তখন খিলখিলিয়ে হেসে বলে উঠো অবাক হয়েছিস।

চিন্তে পেয়েছিস আমাকে,

আমি মাথা নারিয়ে বলাম হে,

তুমি তো নীল।

হটাৎএলে যে তুমি এই ডেরাতে?

তুমি বললে, তুই তো ডাকলি আমাকে,

তাই তো এলাম জোনাকি হয়ে।

তাই তো এলাম ছুটে  রাত জাগা পাখি হয়ে।

অভিমানি কন্ঠে  বলে উঠলাম আমি,

তুমি করো খালি বকাবকি।

আড়চোখে দেখি আমি,

আমার কথা শুনে তুমি মিট মিটিয়ে হেসে বলে উঠলে

তুই একটা পাগলি। 

আমার  মন অনেক ভারি, জমে আছে মেঘ।

বলেই তুমি বৃষ্টি হয়ে  নামবে অঝোরে

তুমি আমি ভেজা কাপড়ে পাশাপাশি দাড়িয়ে। 

আমি জানি  তুমি আমার  মান ভাঙ্গাও।

ভিজলাম  অনেক  টা সময় ,

দুই জন এক   সাথে।

শীত লাগে শরীরে,

কপালে দিলে হাত জ্বর এসেছে বড্ড।

কপালে তোমার  চিন্তার ছাপ,

আবার  শুরু করলে বকা বকি।

চোখে আমার জ্বল ছলোছল,

বুকে জরিয়ে বলো তুমি,

তুই ছাড়া  কে আছে  আমার বল। 

ছুঁতে যেনো পায় না তোকে কোন অভিশাপ,

শাসনের বেড়িতে আমি রাখি তার হিসাব।

 

F মাতাল  মন

@ নাবিলা তাজনূর নুহা

----------------------------------------

 

হঠাৎ করে, কিযে হলো আমার

পলক ফেলতেই  দেখি তোমায়,

ছুয়তে গিয়ে  উধাও  তুমি। 

খেলছো যেনো  কানা মাছি।

আমার  চোখে ভেসে ওঠে  তোমার,

ওই মায়া  ভরা  মূখ খানি।

কানে বাজে তোমার  গলার স্বর। 

তোমায় মনে পরলে করি শুধু পাগলামি।

উঠে এই মাতাল মনে ঝড়,

তোমার আসার অপেক্ষায়।

 ইচ্ছে গুলো বায়না করে তোমার কথা ভেবে, 

তুমি করবে যে আদর।

এমন হবে কোনো দিন আমি আগে ভাবিনি। 

তোমায় ছাড়া এক মুহূর্ত লাগে যে কঠিন,

যে টুকু সময়  তুমি থাকো পাশে সময় গুলো যে বড্ড রঙ্গিন। 

তোমার একচিলতি হাসির মাঝে আমার কষ্ট গুলো বিলীন। 

যখন তুমি সামনে থাকো বায়না ভরা আমার মুখ। 

যদি তুমি না বলো কথা,

বেরে যায় আমার  অভিমান।

মাঝে মাঝে ভাবি সব দোষ  আমারি,

আমার  বায়না গুলো কঠিন। 

তোমার মনে না থাকাযে অভ্যাস।

তুমি কখন আসবে ভালো বাসবে আমাকে,

এই আশায় বসে থাকি যে সব সময়। 

আমায় করে জালাতোন তোমার না থাকার সময় গুলো।

এমন হবে কোনো দিন আমি স্বপ্নেও ভাবীনি।

 

 

 

 F কালের যাত্রা

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

----------------------------------------

 

জীবন তো চলে যায় সময়ের টানে, 

ঘড়ির কাটায় টিক টিক করে বয়ে চলা নদীর স্রোতে,

চোখের পলকে যেনো দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে,

 আবার কালের নিয়মে দিন। 

দেখতে দেখতে  বছর পেরিয়ে যায়,

কতো নতুন  নতুন  প্রাণ জন্ম নেয়

সময়ের তালে বড় হতে থাকে, 

একটা সময় কালের বিবর্তনে,

তারা আবার  মাটির কোলে চলে যায়।

লুটিয়ে যায় তাদের অস্তিত্ব,

হারিয়ে যায় সব কিছু,

 তুমি আমিও একদিন  হারিয়ে যাবো।

কেউ  খোঁজ  করবেনা 

মনে পড়লে কান্না  করবে

কিন্তু খুঁজে বা ছুয়তে পারবেনা,

টিক টিক করে ঘড়ির  কাটার সাথে 

সৃতিগুলো পেছনে পড়তে থাকবে,

ভুলে যাবে একে বারে আমাদের।

আবার নতুন প্রাণ গজাবে আমার,

তাদেরকে ধরতে বা ছুয়তে পারবো না আর।

তারা প্রান গুলো কে পরিচয়া করবে। 

কালের নিয়মে তারাও হারিয়ে যাবে।

কিন্তু সময় বয়েই চলবে নদীর স্রোতের মত।

সময়কে যদি থমকে দেওয়া যেতো

কোনো এক টাইমলাইনে।

হয় তো আজ পুরুন হতো

হারিয়ে যাওয়া সকল মানুষের ইচ্ছে,

তোমার আমার কল্পনা সব করতাম বাস্তবে। 

আমি থেকে যেতে চাই তোমাদের মাঝে, 

নতুন করে নতুন ভাবে নতুন প্রাণে নতুন সাজে। 

হয় তো শালিক হয়ে, নয় তহ  বট বৃক্ষ  হয়ে, 

আথবা কোকিল হয়ে জন্ম নিতে  চাই।

রেখে দিবে কি আমায় মনে?

হয়তো কালের  বিবর্তনে ভুলেই যাবে, 

আমি ঠিকি হারিয়ে যাওয়া প্রানের মাঝেও

মনে রাখবো তোমাদেরকে,

আমার দুই হাত দিয়ে আগলে রাখবো ছায়া দিবো,

 মন খারাপে গান শুনাবো,

আমি বিলিয়ে দিতে চাই আমাকে তোমাদের মাঝে,

আমি হারিয়ে যেতে চাইনা কালের বিবর্তনে,

থেকে যেতে চাই কালের যাত্রার পথিক হয়ে,

তোমার পাশাপাশি চলার সাথী হয়ে।

 

 

 

 F উপমা

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

------------------------------------

 

কি নাম দিবো তোমার উপমা ?

কি দিবো তোমায় উপমা ?

তুমি যে আমার উপমার তৈরি নীল পাখি,

হারিয়ে যাও অচিন দেশে, 

তোমার আপন মনে,

আমি তো খুঁজে  দিশেহারা 

কোথায় গেলো আমার নীল পাখি?

দিলাম আমি উপমা চোখের মনি,

তুমি তো যাও দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে,

চোরাবালি মন তোমার শুধু থাকো লুকিয়ে।

উপমা দিলাম তোমার প্রেম কবি, 

ভালোবাসা আড়াল করে আঁকো তুমি দূরত্বের ছবি।

উপমা দিলাম প্রবল বেগে আচড়ে পড়া ঢেউ,

মন ভেঙ্গে যায় ঢেউয়ের স্রেতে জানতো না তো কেউ। 

উপমা দিলাম নিশি রাত,

তুমি তো হারিয়ে যাও একটু খানি মন ছুয়ে ভোরের ডাকে,

তোমার আশায় ভোরের পাখি হয়ে মন 

অপেক্ষায় বসে থাকে।

উপমা দিলাম তোমায় আমার ছায়া,  

অন্ধকারে মিলিয়ে যাও,

কত বার বলি যেওনা ছেড়ে,

 তুমি তো চলে যাও অপন মনে।

 

 

F  নিশীকণ্যা

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

------------------------------------------

 

আকাশ টা ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে

সেজেছে বিরহের সাজ,

অশান্ত মনে বুঝি বৃষ্টি নামবে আজ। 

কেনো যানি এদানিং খুব পিপাসা পায় মনে, 

ভিষণ খুদার কারণ সে না জানে।

খুদা পিপাসা জালায় বিছানার এপাশ ওপাস করে আর ভাবে

কোনো এক রাতে  হয়ছিলাম নিশি কন্যা, 

তোমার  আমার  মিলনে মৃত নদীতে হয়েছিল বন্যা।

চারিপাশে যখন বৃষ্টি  থম থমে,

 আমারা  তখন  মিলন নিশার মগ্নে। 

খেয়ালি করিনী বৃষ্টি  এসেছিলো  আমাদের  শরীরে,

ফিরিয়ে দিয়েছিলাম তাকে,

তাই তো সে আমাদের  মিলন শেষে কাঁদে।

সৃতির পাতায়  দাগ কেটে গেছে এই বৃষ্টি, 

আজ আমাদের মিলন শেষে সে চোখের  জল ঝড়ার,

করে দেয় আমাদের  মনে ভালবাসার সৃষ্টি। 

আমি বড্ড  হিংসুটে না পারি  সয্য করতে বৃষ্টিকে,

 না পারি তোমার ওই পরীকে। 

 আমি জানি ওরা মানুষ  নয়,

 কিন্তু  কি করবো বলো, 

আমার তোমাকে হারানোর বড্ড ভয় হয়।

তোমার  পাশে অন্য  কাউকে  না পারি সহ্য করতে।

যদিও কল্পনায় ভাবি, 

না চাইতে জল আসে  চোখে, 

ভিতরটা খালি লাগে,

প্রাণ পাখিটা থাকতে চায়না বুকে।

সমাজ ও পরিবারের সব নিয়ম ভেঙে দিয়ে,

হয়তো একদিন নিরুদ্দেশ হবো তোমায়  নিয়ে।

একটু কষ্ট  করে রেখে দিও তোমার  বুকে,

সেথায় আমি তোমার হয়ে থাকবো চিরসুখে।

 

 

F  নীল পদ্ম

@ নাবিলা তাজনূর নোহা 

-----------------------------------------

 

একটু দূরে  ডাকছে জীবন যাচ্ছি চলে তাই। 

ভাবছি আমি আঁকছি ছবি

তোমার শহরে নাই।

আকাশ কুসুম কল্পনাতে,

তোমায় খুজে পাই।

মনের  ক্যানভাসে তোমার  আড্ডা,

বাস্তবে তে নাই। 

অভীশপ্ত জীবন আমার,

তোমায় ছাড়া কেমনে কাটায়।

দীঘির জ্বলে এবার বুঝি ফুটবে প্রাণ পদ্ম ফুল, 

অথৈ নদীর ঢেউয়ের তালে ভাঙ্গিবে আজ তোমার কুল।

পরশ পেয়ে ফোটেনা পদ্ম,

আগুনে  পুড়ে হয়েছে ছাই,

তোমার কূলে দুঃখ ভরা

আমার কুলেও সুখ তো নাই।

স্বপ্নে  আমার রোজ ঝড়ে,

আকাশ থেকে  তারা,

দুই হাতে কুড়াই আমি ঝড়ে পরা তারা।

নীল আমার  হৃদয়ের  রঙ

মুছে যাবার নয়,

কল্পনাতে আকা ছবি নেই মুছে যাবার ভয়।

কল্পনাতে আশকারা  দেই ইচ্ছে গাছে জল,

দারুন জালা দিবা নিশি অন্তরে অনল।

তাসের ঘরের  মত ভেঙ্গে যায় স্বপ্নগুলো উদাশ মনে তাই,

চোরা বলির তলদেশে তলিয়ে যাই রোজ একটু করে,

আকাশ  কুসুম  কল্পনাতে তোমায় খুঁজে  পাই।

অবাধ্য পিছুটান  অন্ধকার  কাটিয়ে,

ঠোঁটে জমা থাক ভালোবাসা। 

তবুও ভয় হয় মনে সংশয়, 

 কল্পনাতে হারিয়ে যাবে না তো মেঘটা,

দহনের  দিনে কিছু  মেঘ,

যদি ভাসে মধ্য  দুপুরে,

আমার চোখের নীলপদ্ম ভাসুক

তোমার অথৈ জলে।

 

 

F সেদিন তুমি বোঝনী আমাকে

@ নাবিলা তাজনূর নোহা

--------------------------------------------

 

বড্ড বেহায়া ছিলাম আমি,

কি করিনী তোমার  জন্য, 

কার না কার কাছে তোমায়  নিয়ে মিনতি করেছি,

তোমাকে পাওয়ার  জন্য , 

মসজিদ, মন্দির, আকাশ, জমিন,পাহাড়, পর্বত,নদী, 

আর আছে শত শত  মিনতিগার। 

সকলের  দারে দারে আমি ভিক্ষা  চেয়েছি 

তোমাকে  পাবো এই আশায় । 

কি করিনি তোমার জন্য একটু দেখার জন্য,  

বাড়ি থেকে কোচিং এর নামে মিথে বলে,

কতো ঘন্টা  দারিয়ে থাকতাম দেখবো বলে।

কখনো ঝুম বৃষ্টিতে আবার কখনো দুপুরে কড়া রোদে,

দাড়িয়ে থাকতাম তোমার অপেক্ষায়। 

নিজের টিফিনের টাকা তোমায় দিতাম,

হাত খরচের  টাকায় তোমার আবদার মিটাতাম। 

তখন তুমি আমার টাকায় অন্য কাউকে খুশি করতে ব্যস্ত।

আমি তখন চুপটি করে দেখতাম। 

কতো কথা যে মরে গেছে বলা হয়নি, 

কত চিরকুট যে আমার বইয়ে ভাজে ছিলো,

তোমাকে দেওয়া হয়নি।

আজ সেগুলো হয়তো ঝাল মুড়ি বিক্রি করা মামার কাছে।

হয়তো কোনো প্রেমিক বা প্রেমিকা বিকেলে আড্ডায়

আমার  চিরকুট তারা হাতে নিয়ে পড়বে

নয়তো বা নষ্ট হয়েছে বলে ফেলে দিবে ডাস্টবিন। 

সেদিন সময় টা তোমার ছিলো

তাইতো ছুড়ে ফেলতে আমাকে,

তোমার  একবিন্দু কষ্ট হয়নি,

আফসোস সেদিন তুমি বুঝতে পারনি।

আজ শুনলাম তোমার কোন যানি এক বন্ধু  বললো,

তুমি নাকি আমাকে নতুন করে ফিরে পেতে চাও।

তুমি নাকি ভিক্ষা চাও আমাকে,

আফসোস আমি এখন অনেক বড় মাপের মানুষ  

তুমি বা তোমার  মিনতি  আমাকে ছুতে পারবেনা।

সেদিন আমি মিনতি করেছিলাম বলেছিলাম রেখে দাও,

তোমার ঘরের এক কোনায় পরে থাকবো ঘুলা মায়লার সাথে, 

তুমি রাখনি ঝেড়ে ফেলেছিলে জিবন থেকে,

আজ আমি বড্ড কঠিন 

তোমাকে করুণা করার মত কিছু নেই আমার ঝুড়িতে।

আমি কবিতা ভালো বাসতাম,

কোনো এক দিন বায়না করেছিলাম,

বই মেলায় যেতে, আবদার করেছিলাম একটা বই নিয়ে দিতে,

তুমি আমাকে ঝারি দিয়েছিলে আর বলেছিলে,

কবিতা তোমার ভালো লাগেনা,

আর মেয়েদের নাকি অতিরিক্ত  কিছু  ভালো না।

আজ যখন আমি কবিতা লিখি

কেনো চোরের মত লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ো।

এখন এই সময়টা আমার, 

কলম আর কবিতার খাতাকে নিজের সঙ্গী করে নিয়েছি,

লিখতে চাই এক পৃথিবী কল্পনার নীল কালিতে, 

গল্প লিখি নতুন করে জীবনটাকে রঙিয়ে নিতে।

 

 

 

F তোমার দেশে

@ নাবিলা তাজনূর নোহা

----------------------------------

 

তোমার দেশে যেতে চাই নতুন  সাজে।

নতুন এক বধু বেসে,

বারে বারে যেনো  আসি ফিরে তোমার দেশে।

ভালোবাসা কতো আশা ছড়ানো ঔই বাতাসে। 

স্বপ্ন মাখা,মেঘের রং ছড়ানো তোমার আকাশে । 

স্বপ্ন  মাখা  মন চেয়ে থাকে সারাক্ষণ,

একথা জানায় চিরকুট  দিয়ে। 

""যেতে চাই তোমার দেশে"""

যেথাই নতুন সাজে আসে যে বৈশাখ। 

উষ্ণ মুখে, শূন্য বুকে আকে বাতাস ছবি,

দিবা রাত্রি লিখে যায় কাব্য নাম না জানা কবি।

অনুমতি দেও দার খোলার,

 "" যেতে চাই  তোমার  দেশে""

যেথাই নদী বয়ে চলে আপন মনে।

মাঝি ছাড়া নৌকা ভেসে যায় পাল তুলে দুলে দুলে।

ফুল বাগানে অলি গুলো পাগল হয়ে ছুটছে যেনো গুন গুনিয়ে।

দক্ষিণা পবন যেনো মন ছুয়ে যায়।

 "" যতে চাই তোমার  দেশে ""

ভালোবাসা  ছড়ানো তোমার দেশে। 

কাশফুলের সারিতে যেনো মেঘ নেমেছে আকাশ থেকে।

বারে বারে যেতে চাই নতুন কোনো সাজে,

জোনাক পোকার সারিতে,

হাতে যেনো থাকে তোমার একজোড়া হাত।

"এক ঘিয়েমি বিরক্ত মুখে, 

উষ্ণ ঠোঁটে  ছুয়ে যায় কোনো এক কবি।

জোছনা মাখা ওই রাতে ভেসে ওঠে তোমার ছবি।

যেতে চাই তোমার দেশে

"" নতুন  রূপে নতুন বেসে""

 

 

F মনের কথা

@ নাবিলা তাজনূর নোহা

--------------------------------------

 

ঔই নীল পাখি  শুনছ  আমার  কথা।

অনুভব  করতে  পারো আমার  যন্ত্রণা আর মনের ব্যাথা। 

তোমার  প্রেমের মায়া  জালে গেছি আমি ফেঁসে,

তুমি আমায় গ্রহণ  করো,

নিয়ে  যাও  তোমার  কাছে  একটু  খানি ভালোবেসে। 

ভালোবাসি কতো তোমায় হিসাব নাহি জানি,

পরেছি প্রেমে দেখে তোমার  মায়াবী  মূখ খানি।

পাগল হয়ে যাই আমি যখন তুমি কাছে  এসো।

জীবনে প্রতি টা নিশ্বাসে যাবো আমি তোমায় ভালোবেসে।

তোমার  কাছে  করতে পারি আমার  মাথা নত,

চাইলে ভালো বাসতে পারো তোমার ইচ্ছে  মত।

তুমি  কি জানো আমার  কাছে তুমি  কতটা দামি,

নীল  পাখি  সত্যি তোমায়  ভালোবাসি আমি। 

যতই তুমি  আমার  সাথে  করো অভিমান, 

ইচ্ছে  মত চালিয়ে যাবোই রাগ ভাঙ্গানোর অভিযান।

লুটিয়ে  দিবো পাগলামিতে,ভরিয়ে  দিবো হাসি।

তুতুন পাখি সত্যি আমি তোমায়  ভালোবাসি।

 

 

F পরদেশী বাবু

@ নাবিলা তাজনূর নোহা

---------------------------------------

 

 

অচিন পুরের মেয়ে আমি চিনবে না আমাকে,

 তোমার হারানো সেই দিন গুলি লেখা বইটা

আমি পড়েছি পরদেশী বাবু।

তোমার নষ্ট হয়ে যাওয়া গোলাপ গাছটা, 

তার মরণ ধরেছিল ধীরে ধীরে,

দেখলাম তুমি মহাদাশ হয়ে তাকে জিতিয়ে দিলে।

আমি নিজের কথা বলি, 

বয়স আমার অল্প,

একজনকে মন ছুঁয়েছিল আমার 

এই অল্প বয়সের টানে, 

তাই মায়া লাগতো আমার মনে। 

ভুলে গিয়েছিলাম অত্যান্ত সাধারণ মেয়ে আমি, 

আমার মত এমন আছে হাজার হাজার মেয়ে,

অল্প বয়সের মন্ত্র তাদের যৌবনে।

একটা সাধারণ মেয়ের গল্প লেখো তুমি পরদেশী বাবু,

বড়ই দুঃখ তার,

তারও সাধারণ স্বভাবের গভীরে, 

অসাধারণ কিছু লুকিয়ে থাকে।

কেমন করে প্রমাণ করবে সে,

এমন কয়জন মিলে যারা এটা বুঝতে পারে। 

কাঁচা বয়সের জাদু লাগে তাদের অন্তরে, 

তুমি না হয় একটা সাধারন মেয়ের গল্প লেখ পরদেশী বাবু,

তুমি না হয় আমাদের অসমাপ্ত প্রেমের  গল্পটা লেখ পরদেশী বাবু।

 

 

 

 

 

 

 

 

F অভিমান 

@ নাবিলা তাজনুর নুহা

--------------------------------------------

 

এক আকাশ অভিমান ঝুড়িতে নিয়ে গেলাম তোমার শহর থেকে।

আমার শহরের তোমার মাতামাতি 

তোমায় ভালোবাসার উচ্ছ্বাসে ন্যস্ত,

তুমি এখনো তোমার অতীত নিয়ে ব্যস্ত।

আমি উজাড় করে দিলাম তোমায় আমার বুকে ঠাই,

তোমার বুকে এক বিন্দু আমার জায়গা নাই।

তুমি থাকো তোমার অতীত নিয়ে, 

হারিয়ে যাই আমি টের টিও পেলেনা, 

আমি আজ কত দূরে।

আকাশ পাতাল আজ অভিমান, লড়াই করি নিজে,

মানুষ তো পাখি না খাচায় রাখিবো বেঁধে,

হয়তো তুমি মানতে পোষ রাখিনি বেঁধে।

পেয়েছি আমি কতো কিছু তোমার থেকে, 

কখনো মিথ্যে ভালোবাসা,

কখনো তো সত্যি অবহেলা। 

তুমি তো বড্ড মহান তাই তো আজ জমিয়ে  রাখো অতীত, 

আমি বাবু পারিনি হতে মহান তোমার মতো এতো,

দূর থেকে চাই বো আমি তুমি ভালো থেকো।  

আকাশ থেকে ঝড়ে পরুক তোমার  হারানো সুখ,

আজ আমি হারিয়ে গেলাম কালো মেঘের আড়ালে,

সাথে নিয়ে এক আকাশ দুঃখ।

 

 

F  স্বপ্ন 

@ নাবিলা  তাজনূর নূহা

-----------------------------------------

 

ঘুমে বিভর আমি,  

মাঝ রাতে এসে তুমি কড়া নাড়ো আমার দ্বারে,

ঘুমে আমি করছি যেনো টলেমলো,

ঢলে  ঢলে পড়ছি তখন চুলগুলিও এলোমেলো।

বিরক্তি যেনো আমার চোখে মুখে। 

কে এলো এতো রাতে  সাধের  ঘুম নষ্ট করতে।  

আর্ধখোলা চোখে দ্বার হালকা করে দিলাম টান,

বসন্ত হাওয়ার মাঝে নাকে লাগে তোমার শরীলের ঘ্রাণ।

হাওয়ায় উড়ে আমার উষ্কো খুস্কো  চুল গুলো,

মনের মধ্যে  আচমকায় এক দাক কেটে  গেলো। 

বাকি দ্বারটাও এক ঝটকায় খুলে দিলাম,

ওমা দেখি তুমি  দাড়িয়ে তাই চমকে উঠলাম।

আমার শরীরে  জাগলো শিহরন,

অনেক কিছু ভাবছিল আমার মন।

ভাবলাম  ঘুমের  ঘোরে হয়তো ভুল দেখি,

 নয়তো তারে নিয়ে ভাবছি বেশি। 

বার বার ঘসা দেই চোখে, 

মনেহয় স্বপ্ন  দেখি  হয়তো,

তুমি এসেছো এটা কল্পনার প্রতিচ্ছবি নয়তো?

ওমা তুমি দেখি সত্যি  এসেছো মোর  দ্বারে,

তুমি  মুচকি হেসে বল্লে

তুই  কি বাহিরেই কি দাড় করিয়ে রাখবি

আসতে  বলবিনা  ভিতরে।?

আমার  তো ভয় ভয় লাগে  

বলেই ফেললাম কেনো এলে হঠাৎ ?

এসেছি তোকে জালাইতে,

এনেছি মুঠো ভরা ইচ্ছে , 

তোর  অপেক্ষার প্রহর কাটিয়ে আমি এসেছি,

তোমায় উপহার দিতে এক প্রশান্তির রাত।

 

আমি  কৌতুহলের বসে  বলেই ফেললাম, 

দাও দেখি আমার  উপহার। 

ধিরে  ধিরে তুমি  এগিয়ে এলে আমার  পানে,

ভয়ে  ভয়ে আমি যাচ্ছি চলে পিছুটানে।

একটা  সময়  পর দেওয়ালে ঠেকে যাই আমি 

নেই পালাবার পথ আর,

তাতে কি আর হবার সত্যি তো এনেছো উপহার। 

কানে কানে তুমি ফিসফিসিয়ে বললে 

রাখবেনা আর অপেক্ষায়,রাখবে  বুকে আগলে,

যেমন করে রাখে পাখি তার ছোটো  ছানারে,

এলো মেলো চুল আমার বার বার ঢাকে মুখের আদলে,

গুছিয়ে যত্নে নিজ হাতে সরিয়ে দিলে,

আচমকায় আমাকে তোমার বুকে জড়িয়ে নিলে।

তুমি বললে যেতে হবে তাড়াতারি, 

ডাকি আমি নাম ধরে,বলি যেওনা,

যাবে যখন  আসলে কেনো মায়ায় জড়াতে?

 

হঠাৎ কানে এলো পাখির  অওয়াজ, 

কিরির মিচির পাখির ডাকে ঘুম ভেঙে  গেলো , 

দেখি তুমি নেই পাশে,

বুঝলাম তুমি এসেছিলে আমার স্বপ্নে । 

আমি বড্ড  ক্লান্ত তোমার এই স্বপ্ন খেলায়,    

আমার স্বপ্নে তুমি রোজ আসো নিয়ম করে।

স্বপ্নে???

 

 

 

 

F দুই রঙ এক সুবাস

@ নাবিলা  তাজনূর নুহা

-------------------------------------

 

বকুল ফুল চিনো বকুল ফুল? 

কোনো দিন  কুড়িয়েছো?

মালা গাথার  সৌভাগ্য  হয়েছিলো কোনো  দিন?

তার মুগ্ধ  সুভাসে মন  নাচিয়ে,

খোপায় লাগিয়েছো কোনো দিন?

তার একটা আশ্চর্য  শক্তি আছে,

খুব সহজেই  তার  মায়ায়  জড়িয়ে  নেয়।

তাকে না ভালোবাসার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না।

দেখতে খুব সাধারণ সাদা রঙের ছোট্ট একটা ফুল।

 সাদা বলেই হয়তো ভালোবাসি আমি,

শুকিয়ে বা মরে গেলে রঙ হয় বাদামী।

সাদা আর বাদামির মাঝেই তার বাস,

সব থেকে বেশি ভালো লাগে দুই রঙ এর এক সুভাস। 

সুভাস চেঞ্জ হয় না কোনো  দিন,

ঠিক তেমন  আমার নীল

খুব সাধারণ  মানুষ কোনো ভেজাল নেই তার।

ওই সাধারণ  স্বভাবের  মাঝে  আছে এক আশ্চর্য ক্ষমতা। 

যেটা  আমাকে প্রেমে পড়তে বাধ্য  করে।

তার মায়া বার বার বেঁধে রাখে অদৃশ্য সুতা দিয়ে।

সে দেয়নি  কিছু আবার সব দিয়েছে।

নীলের মাঝেও দুই রঙ বিরাজ  করে,

শাসন  আর ভালোবাসা,

দুই রঙের  সুবাস এক, তবে দুইটায় আলাদা। 

ঠিক বকুল ফুলের মত,

তাকে শুধু ভালোবাসা যায়,

মনের গহীন থেকে সুবাস  ছড়ায়।

ফিরিয়ে দেওয়ার সাধ্য নেই। 

তাই তো বার বার শত বার প্রেমে পড়ে মন,

বকুলে বাঁধিব  প্রাণ,

 বকুলে গাঁথিব  মালা,

বকুল  মোর সঙ্গে, 

ভালোবাসা  দিবো উজাড়  করে  

নাহি কষিবো হিসাব অংকে।

যেতে দিবোনা সুবাস  তাহার

নীলকে রাখিবো বেঁধে,

সুভাসে সুভাসে ভরিয়ে নিবো

বন্ধ  হৃদয়ের কুঠিরে,

রেখে দিবো সৃতি তাহার, 

নাহি যাবো ভুলে।

 

 

F ডাকতে পারিনি সেদিন

@ নাবিলা তাজনূর নূহা

----------------------------------------

 

দেখা হয়েছি আপনার  সাথে,

হঠাৎ  করেই বলতে পারেন।

 তবে চোখে  চোখে  আবাক দৃষ্টিতে   

দুই জন  মুগ্ধ  চোখের  তাকিয়ে  থাকা হয়নি।

তুমি  ব্যস্ত নিজ দায়িত্বে, 

আমিও  ছিলাম নিজ গন্তব্যে 

তবে দেখা হয়েছিল হালক  করে বলতে পারি।

হ্যাঁ দেখা হয়েছিলো আমারাদের।

সূর্য  মামা আকাশ  কোনে  উকি দেয় ঝলমলিয়ে 

দেখা হয়েছিল আমাদের, 

দেখেছি আপনাকে দূর  থেকে মুখে ছিলো সতেজ  আদল।

দেখা হয়েছিলো আমাদের। 

কত শত না বলা কথা উঠেছিলো জেগে। 

ইচ্ছে  ছিলো নাম ধরে  ডাকি,

ডাকা হলো না?

 

আবারও  হয়েছিলো দেখা, 

সূর্য  মামা  যখন ঢলে পরে পশ্চিম  দিকে।

ক্লান্ত  শরীল তোমার। 

মায়া লেগেছে  বড্ড।

ইশ যদি পারতাম ডাকতে তোমায়।

ডাকা হলো না?

কত শত ইচ্ছে  তখন  বায়না ধরে   তোমায় ভেবে।

দেখা হয়েছিলো তোমার  আমার। 

ভেবেছিলাম তোমায় ডাকবো

তোমার  বড্ড  তাড়া ছিলো ।

ডাকা হলো না?

 

তোমার  আমার   দেখা হয়েছিলো আবার। 

সূর্য  মামা যখন ছুটি  নিয়েছে, 

মিশে গেছে  আকাশ  কোনো।  

দেখা হয়েছিলো  তোমার  আমার। 

এইবার এক মিনিটের জন্য  পাশাপাশি। 

বুকে আমার  কেমন  কেমন করে। 

পাশ ফিরে দেখি তুমি। 

অন্ধকারে   সব কিছু  আবছায়া  তবে দেখা হয়েছিলো,

কথা বলা হয়নি, 

চেনা নাম ধরে ডাকা হয়নি। 

বলা হয়নি জমে  রাখা না বলা কথা।

দেখা হয়েছিলো  আমাদের। 

আমি হলফ করে বলতে পারি।

কিন্তু নাম ধরে ডাকা হয়নি,

বলতো কিভাবে অভিবাদন করবো তোমায়?

 

 

 

 

F কষ্টের দান

@ নাবিলা তাজনূর নূহা

----------------------------------------

 

তুমি কষ্ট  দিয়েছো  আমায়।

তুমি এ মনের  দূর্দশা করিয়াছো।

কি ছিলো তোমার  মনে, 

বুঝিবো বলো কেমনে।

তুলিয়া  প্রেমের ঝড়,

হটাৎ  নিস্তব্ধ   হইবো বলো কেমনে।

কত শত প্রেমের রচনা  কাব্য, 

সবই কি মিথ্যে  বানী।

মাযার  জালে  বাধিয়া মোরে,

দূরে বসে আকঁতেছো দূরত্বের  সীমানারেখা তাও জানি।

তুমি  মৃত্যু  নদীতে করিয়াছো জলচ্ছাস।

চুপটি করে শান্ত  মনে,

মোর অবুজ হৃদয় তিলে তিলে ভাঙ্গিতেছো।

তুমি মোর হৃদয়  বুকে হঠাৎ  করে গড়তেছো খরার হাহাকার। 

তুমি কষ্ট  দিয়েছো আমায়।

তুমি আজ বসন্ত  ফুলের কলি ফুটিয়াছ  আদল  দিয়ে। 

তুমি মোর নয়নে,

তুমি মোর  সয়নে,স্বপ্নে।

হানা দিয়েছো  লুটপাট  করিয়াছো মোর মনে।

তুমি মোর  ইচ্ছে  তারের  উদাশি ঘুড়ি  উড়িয়া দিয়াছো আকাশে।

 

তুমি করিয়াছো ভুল,

তুমি  করিয়াছো রচনা  নীল কাব্য। 

মোর দূর্দশা  দেখে দূরে  গিয়ে ফিসফিসিয়ে গল্প  করো নিজের  সাথে। 

আমি তো সবি যানি।

 তুমি না বুঝেয় করিয়াছো রচনা তাও বুঝি।

তুমি  মোর  নয়নের  ক্ষত বাড়াও তাও জানি।

তুমি করিওনা ভুল, 

তুমি মারিওনা মোরে তোমার  বন্যার স্রোতে। 

তুমি  ভাঙিয়া যাইওনা আমার মনের দু'কূল,

তুমি মোর হৃদয়ের বাগানে ফোঁটা প্রথম ফুল।

তুমি শরতের আকাশে সাদা মেঘের ভেলা,

তুমি কাশবেনের  সাদা পালোকের মেলা।

তুমি হারিয়ো না  মোরে,

রেখে  দিও তোমার হৃদয়  কুঠিরে।

 

 

 

 F অভিযোগ 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

----------------------------------------

 

শোক সহ্য শহর  জুড়ে। 

চলতি সময়  থমকে গেছে  হঠাৎ করে।

চিলেকোঠায়  মন আজ খুন।

কবিতা  গুলো  চুপি চুপি  কান্না কাটি করে মন যে খুন।

অন্ধকার  ঘর আশেপাশে   শুধু  খুনের প্রতীচ্ছবি। 

দেওয়াল  জুড়ে  রক্তের  ছিটে ফোঁটা। 

ডায়রিতে প্রমাণ অগ্নীশিখা।

মেঝের  কোনে মন ছাড়া  দেহ চুপটি  করে চোখের  জলে ভাসে।

ফুঁপিয়ে  ফুঁপিয়ে  বলে বন্ধী রাখতে কেনো পারলিনা?

সম্পর্কের শহরে  আজ, একাকিত্বের কারফিউ  জারি।

ভালোবাসা  সেখানে জীবন্ত মহামারী। 

অন্ধকার  গ্রাস যেনো চিলেকোঠা। 

রক্তের গন্ধে  আজ বিষাক্ত  ধোয়া।

শত শত মন আজ হয় যে খুন।

মৃত্যু  দন্ড  চাই প্রেম নামক মিথ্যে  বানী।

বন্দী  করা হোক  মনের  বাহারি আলাপ। 

নয়তো বন্ধ  হোক প্রেম প্রতিষ্টা  দিবস।

নয়তো বন্ধ  হোক  বিচ্ছেদ  প্রথা।

নয়তো বন্ধ  করা হোক মন দেওয়া নেওয়া।

শহর  থেকে উঠে  যাক প্রাপ্তন এর সৃতি। 

 থেমে  যাক কোলাহল। 

শত শত ব্যর্থ  গল্লের  চোখের  জলে নামুক বন্যা। 

 ভেসে যাক ভালোবাসার ক্যানভাস।

 নয়তো কারাগারে  নিক্ষেপ  করা হোক ছলনা কারী দের।

অনাহারে  মারা  যাক মন লুটেয়ে নেওয়া ডাকাত। 

আজ দেহের  আর্তনাথ চিৎকার হাহা কারে 

আহত  হোক অন্ধবিশ্বাস ভালো বাসা নামক।

তলিয়ে  যাক খুনিদের  মন হত্যার  বিলাশিতায়।

প্রাচন্ড অনূসুচনা  তাদের  ঘুম কেড়ে নেক,

উপহার  পাক ঘুটঘুটে  কালো রাত।

আপমান অবহেলা  তাদের  কুড়ে কুড়ে খাক।

তাদের  হৃদয়ে বিরহের তীর  বিদুক।

মন ভাঙ্গার প্রতিযোগিতায়  নেমে আসুক  অভিশাপ। 

শহর  জুড়ে  প্রেমিক প্রেমিকার নাম  আয়োজন  বন্ধ  হোক।

থেমে যাক ভালোবাসার মহামারি।

নয়তো বন্ধ  হোক বিচ্ছেদ  নামক মন খুন।

 নিরাপত্তার সীমানা  রেখা আকা হোক।

মুক্তি  পাক  মায়া নামক বাঁধন।

কমে যাক  হত্যা,

বন্ধ  হোক মহামারী  বিচ্ছেদ। 

 

 

 F সেই রাতে

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------

 

আজ কেনো মন উদাসী দূর অজানায় চায় হারাতে।

কবিতার বই  সবে  খুলেছি, লোডশেডিং এর মাঝ রাতে।

জানালা সবে দিয়েছি খুলে, দেখেছি  আমি তোকে,

আমি কত শত বার আঁকি তোর ছবি ভ্রমর কল্পনাতে।

মন ছটফটিয়ে  চলে চারিদিকে বিষাদের ধোঁয়া,  

বড্ড ক্লান্ত ছুটে  তার  পিছু,

তবুও মনের  গতি  আকাশ  ছোঁয়া।

বেকুলতায় চনচলতায় মাতিয়ে থাকে মন ও প্রাণ,

হাওয়ার মাঝে কানে ভাসে মিষ্টি  গলার  গান।

নিঝুম  রাতে চাঁদের আলো,ছাদটা যেনো হলুদ  মাখা,

ছায়া যেনো চলে পিছু, আকাশ  বুকে তাঁরার মেলা।

ঝিঝি করে  বাড়ির পাশে

হুদুম পেঁচা  আমের ডালে,

আতা গাছে টুনটুনি পাখি

নাচতে থাকে গানের তালে।

বাগান  বিলাসী  হেনা আর গন্ধরাজের মুগ্ধ  সুভাসে,

মন মাতানো সৌরভ মিশে ছিলো আকাশে বাতাসে। 

হাতের মাঝে  রঙ তুলি  আঁকে মন রঙ ছবি,

বেকুলতা লাফা লাফি ছন্দে  যেনো গড়তে চায় কবি।

জীবনের ক্লান্ত পথে নিজেকে  হারিয়ে ফেলে,

নাম না জানা অচিন দেশে,

একটু যেনো  চেনা পথে।

গায়ে নেই  গরম  তবুও  জ্বর  মনে।

পচা, গলা, নেতিয়ে পড়া নষ্ট  হৃদয়, 

সে রাতে সতেজ আদলে  প্রাণবন্ত হয়।

ঝমঝমিয়ে নামলো শেষে  জমা  যত বেথ্যা।

তোমরা  যাকে বর্ষা ভাবো, আদতে তা মায়া।

 

 

 

 

F নিঝুম রাত

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------

 

নিঝুম  রাত, নাকি কোনো শব্দ? 

আসছে ভেসে উপর  থেকে চাদরে  আলো।

মনে  ঘরে যেনো  ধুম কালো।

চুপি নীলাসায় জীবন  টা যেনো   বন্ধ   রয়।

চারদিক  নিস্তব্ধ শুধু ঝিঁঝি পোকার  শব্দ। 

জীবনটাকে  এক নিমিষে  যেনো, 

সে রাত পাল্টে  দিলো।

হুদুম পেঁচা  বড় বড় চোখে তাকিয়ে আমার পানে,

কি যেন ভাবছে সে আনমনে। 

টিপটিপ করে জ্বলছে  যেনো  জোনাক পোকা,

সমুদ্রের  বুকে আকাশ  থেকে  ঝরছে তারা।

আসছে ভেসে দূর  থেকে কুকুর ডাক,

রাতে উঠে থেকে থেকে শিয়ালের হাক।

লাগে  ভয় বুক কাপে থরথর, 

তবুও  বলিনা মুখে। 

ওঠান জুড়ে  চাদের  আলো।

সেই রাতে মনে হয়ছিলো দিনের থেকে  রাতটাই বেশ ভালো।

চুপ চাপ জোসনার আলো।

 

 

 

F  বলবো সব

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

---------------------------------------------

 

আমি তো বলিনি  আপনাকে ভুলে যাবো। 

আবার  কোনো  প্রতিশ্রুতি  দেইনি  অমরত্ব  লাভ করবেন,

আমার  জীবন  সংগ্রামে বিজয়গাঁথা হয়ে। 

আবার  এটাও  বলিনি  মুছে যাবেন

জলরঙের ছবির  মতো  দেওয়ালে। 

কোনো দিন  বলিনি  তো  থাকবেন না

আমার  নকশিকাঁথার  সুতার  আঁকে বাঁকে। 

বলিনি তো  আপনি  আমায় জলন্ত  অগ্নি কূপে নিক্ষেপ করেছেন।

আবার এটাও বলিনি  একাকিত্ব উপহার পেয়েছি

আপনার উদার  মন থেকে। 

মন দেওয়া নেওয়া ব্যাবসাতে আপনি  যে বণিক  বড়ই  লাভবান।

না জানি হাজারো  মন  করেছেন  ধুলো  ময়লার সাথে  বিক্রি। 

বলিনি তো আপনার   গণিতে  উত্তর  মিলে দু'য়ে  দু'য়ে পাঁচ। 

সমাধান  ছিলো চার করেছেন তো অবজ্ঞা 

তিক্ত  অভিজ্ঞতা  মিলেনি তো সভ্যতা।

বলিনি তো আপনি  চরম মাপের  এক ঘোরে লোক। 

ছলনায়  সীমাহীন  অনেক  দিয়েছেন পাশ।

 বলিনি  তো  আপনাকে  নিয়ে লিখবো কবিতা। 

আমার  অগোছালো  কবিতার মাঝে  আপনার  ঠিকানা। 

আমি তো কোনো  সাদা  কাগজে হাতের ছাপ দেয়নি। 

এক শতাব্দী পারেও থাকবেন আমার  শেষ  অধ্যায়।

আবার  বলিনি  তো একযুগ পাড়ি  দিবো আপনার  অপেক্ষায়।

বলিনি তো কঠিনতর শীলা  আজ মনে।

একদিন  সেথায় ছিলো মধুর  চাষ।

বলিনি তো আমার সকল ইচ্ছে  বিসর্জন  আজ।

বলিনি  তো পরশু  হয়েছিলো শেষ দেখা।

আমি তো বলিনি, 

কোনো  কিছুই বলিনি আপনাকে।

সময়  যেথায় থমকে গেছে। 

হাত ঘড়িটা বন্ধ  আজ।

দিনে একবার  দেখায় সঠিক  সময়।

বলিনি তো, 

বলবো সব আপনার  তীব্র  অনূসুচনার মাঝে,

কঠিনতম একাকিত্বের  রোগে।

 

 

F আমন্ত্রণ

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

------------------------------------------

 

 

 আকাশ  দেওয়ার নিমন্ত্রণে মেঘ কেনো দিলে?

রংধনু আমন্ত্রণে বৃষ্টি  কেনো দিলে? 

বিকেলের চায়ের  কাপে, দুপুরের কড়া রোদ কেনো দিলে? 

সবুজ সুন্দর  সমারোহের, দহন কেনো দিলে? 

সতেজতা ভাসিয়ে  দেওয়ার কথা ছিলো তোমার, 

তবে ক্লান্ত কেনো দিলে? 

তোমার মুখে প্রবল স্রোতে,

ক্লান্ত চোখে ভাসিয়ে নিও শেষ বিকেলের ডাকে,

অনূভুতিরা সাড়া দিক দিগন্ত রেখার আঁকে বাঁকে। 

জ্বরের ঘোরে প্রলাব ঝড়তো মুখে,

সে এসে  বসুক পাশে 

যেমন করে অসুখ আসে। 

তারপর হয়ে যাক যন্ত্রনার প্রতিকার ।

তবুও  ডাকতে তুমি আড়াল করে দুঃখ, 

বলতে তুমি,  আমি কি প্রিয়  তোমার সেই  অসুখ?

দূর থেকে আমিও সাধি,

গোপনে বিরহ ভেবে বুকে রাখি বাঁধি।

হীরার  ঝলকানি চাহনি  যেনো দেখেও না দেখা,

তোমার এই কালে মেঘ বীজলির সিমারেখা।

অপ্রকাশিত অপেক্ষায় ভাসায় যে ভেলা,

সময়  যেনো নিজ শত্রুর, কাটায় যে হেলা।

আমার সংক্ষিপ্ত গল্পে,তুমি  এক অদ্ভুত অনুভূতি, 

নাহি বুঝিবার  ক্ষমতা তোমার হাজারো জমানো সৃতি।

জীবনের  ক্লান্ত পথে  নিজেকে তখন  হারিয়ে।

চেনা পথ খুঁজতে পেলাম তোমার দেখা,

নয়নে নয়নে ডাকি তোমারে।

মনেরি গগনে তোমার  নাম।

শহর জুড়ে বৃষ্টি নামবে, 

তুমি খুঁজে নিও ঠাই,

প্রতি টা বৃষ্টি কনায়  লেখা, 

শেষ  অবধি  তোমাকেই চাই। 

 

 

 

F মুক্ত করো আমায়

@ নাবিলা তাজনূর নূহা

--------------------------------------------

 

আসবে  আমার  নীল, অচীন পুরে  তার বাস।

ছুঁয়ে  দিবে জীবন  কাঠি মিলবে আমার  উচ্ছাস। 

মনের কেনভাসে দাপিয়ে  বেড়া, 

দেওয়াল ছবিটায়  থাকবে আমার  ছবি।

জল রং দিয়ে আকবে  আমার নীল। 

আধভাঙ্গা মন আমার  কত  নালিশ ছুড়ছি তাই আকাশ  পানে।

নীল আমার  পাবেনা তো মনের গভীরতা মাপতে, 

তীরের জ্বলচ্ছ্বাস  শুধু  হাবুডুবু খাবে।

 ইট পাথর অলিগলি আমি  ঠিকানা বিহীন, 

নীল এই ঠিকানা খুজতে হয় আকাশে বিলীন।

যদি পথ ভুলে  আসতে,

প্রিয়  আমায় কি ভালো বাসতে?

 ঠিকানা  জানতে মানা,থাকতে পারবে কি অজান্তে। 

রংধনুর  সাত রঙের বাহারি ফুলের  মেলায় পারবে কি আমায়  চিন্তে?

কালো বুড়ী  নতুন করে করলো আমায়  জাদু,

বন্দী  আমি  মিলবেনা  তো মুক্তি,

দূর দেশে  আছে তার প্রাণ ভোমরা 

সেথায় যেতে হবে,আছে সেথায় মায়া স্বপ্ন  বিবেক,

আরো আছে বাস্তবতার  কতো লড়াই।

মিলবে আমার  মুক্তি, জীবন কুপে আমি মরণ  ফাঁদে, 

যদি পরো মুক্ত করতে আমায়, 

মিলবে তোমার  ভালোবাসার  রানি।

আমার  মনে বিষাদ-যন্ত্রণার, কালোমেঘে ভরা নীল। 

পারবে কি সুদ্ধ  করতে,

করবে সেথায় নীলের মাঝে সাদা মেঘের  বিচরণ।

পাখির না বলা কথা, পারবে কি জানতে?

শত শত ইচ্ছেরা আজ উদাসী, ঘন ঝাউবনে।

পারবে কি বসন্তের  বাতাস  দিয়ে ধরে  রাখতে এক কুঠিরে?

পারবে কি খুঁজে  আনতে ফেলে আসা দিন,

ভালোবাসা আর স্বপ্ন যেথায় রঙিন। 

কষ্টের  বোঝা  ভিষণ  ভারি পারবে প্রিয় ঠিক করে বয়তে?

জমে থাকা  হাজারো  অভিশাপ। 

হৃদয়  কুঠির অন্ধকার না আসে সূর্যের আলো,

না পায় চাঁদের আলো,

পারবে কি জ্বালাতে তুমি এই মনে আশার আলো?

স্বপ্ন  সৃতি  মায়ায় ভারা আমার কল্পনার নীল।

 

 

 

 

F সেই প্রভাতে আমি নেই 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-------------------------------------

 

যখন  ডাকবে  মোরে  ওই পারে।
জীবন তরীর পালতোলা,
হটাৎ করে প্রান পাখি টা ঘর ছাড়া।
মায়ার নারী
  ছিঁড়বে  তখন  ছন্দ  গুলা।
ভাসিয়ে দিবে নয়ন জলে,
মিটিয়ে দিবো লেনা দেনা,
মিটিয়ে দিবো আপন
  হেলা।
যখন পায়ের চিহ্ন
  পরবেনা তোমার উঠান জুড়ে।
তুমি নীল নাইবা মনে রাখলে।
জমিয়ে তোমার কড়া হিসাব,
গুছিয়ে
  রাখো মনের পাড়াই।
আমি চুকিয়ে দিবো তোমার হিসাব,
বন্ধ হবে
  আনাগুনা।
জমবে ধুলা ডায়রির পাতায়,
কবিতা
  গুলো  রঙ ছাড়া।
কাব্য কে নাই বা তুমি
  খুঁজলে।
মরন ঘরে সেওলা জমা,
হৃদয়
  পানে গোলাপ কাটার আঘাত 
নাইবা তুমি
  মুছলে।
তোমার জীবন হীরার ঝলক,স্বপ্নে ঘেরা ঘর।
তুমি নাই বা আকাশ খুঁজলে।
তারার মাঝে
  বেঁচে থাকা,
তুমি নাইবা আমায় বুঝলে।
জীবন
  যুদ্ধে হেরে যাওয়া এই ঘাটে,
তুমি নাই বা পাশে থাকলে।
তুমি
  নাই বা ডাকলে জোসনা রাতে।
কাটালতা বিশে ধোঁয়া,
বাগান
  ঘনো ঘাসে ফড়িং গুলো বনবাসে।
তুমি নাই বা খোঁজ রাখলে,
হারিয়ে
  আমি, ভুলে তুমি  নতুন  সাজে ভ্রমর বেশে।
নতুন
  বেসে কাটবে  সেদিন  তোমার  ভালো।
তখন
  আমি মরণ রোগে
যাওয়ার
  বাশি বাজবে,
আজ যেমন
  হারায় আমি,
তুমি নাইবা চেনা শুরে গান ধরলে।
নতুন
  করে তুমি বাঁধবে   সুখ,
আমার
  না থাকায়  যে নেই  তোমার দুঃখ ।
হেরে যাবে
  ভালোবাসা,
মুছে যাবে কাব্যের ছবির রঙ গুলো।
আমি থাকবো না, আমি থাকবো না,
তোমার
  নীলের মিথ্যা  নিমন্ত্রণে।
আমি
  ভুলবো না, তোমার  সৃতি এই ঘাটে।

 

 

 

 

F আমি রবো তোমার সুরের মোহনায়

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

------------------------------------------------

 

কামনার প্রসাদ থেকে জেগে ছিলো।

গড়ে ছিলো  সমকোণী  দেওয়াল।

বন্দী  অনুভূতির কারাগার।

ফিরতে চাই, নেই  ফেরার পথ জেনা।

পূর্নিমার জ্যেতিময় আভরন ছুঁয়ে  ছিলো, 

তোমার  সুপ্ত হৃদয়  বাসনা।

রাত্রির সুবাসিত  লহো কামিনী  সুগন্ধি  ছড়ায়।

আমার  আবাস আঙ্গিনায়।

কোনো এক প্রচিন কালে, 

মিলন হয়েছিলো আমাদের। 

জেগেছিলো চাঁদ তারা। 

প্রহরী ছিলো জোনাকী পোকা।

আকাঙ্ক্ষারা সব খুলে ছিলো দ্বার। 

ফুটে ছিলো রাতের  রানি।

শ্রাবণ ধারা ঝড়ে ছিলো  আবেগ মনে।

কত  জ্বল লুকানো ছিলো,

তারা  জমে ছিলো দু নয়নে।

নিশি রাতে অন্ধকারে  ঝড়ে ছিলো অঝোর ধারায়।

দুঃখের পরে সুখের ধারা।

পুড়িয়েছিলো হৃদয়  জ্বালা। 

যে গাছে ফুটেনা ফুল,ধরেনা ফল,

তোমার  নিমন্ত্রণে ফুটেছিলো, 

তোমার  পানে চেয়ে চেয়ে।

তোমার  চেনা সুরে আমার হারানো সকল ইচ্ছে, 

মেনেছিলো তোমার  কাছে হার।

শুনেছিলো চুপটি করে,তোমার  বীনের শুরু। 

উঠান পারে প্রদিব জ্বলে, 

তোমার ওই দক্ষিণা বাতাসে  নিভে ছিলো শিখা।

আমার  জরাজীর্ণ  হৃদয়  মেতেছিলো ফাগুন  ডাকে।

তোমার আসার  বাদল দিনে,বসে ছিলো বর্ষা রাতে।

মরন জালায় ভুগেছিলাম এনে ছিলে প্রজাপতি। 

বেঁধে ছিলে তোমার  ঋণে।

হাসিতে তোমার মুক্তা ঝরে, আমার  নয়ন জ্বলে। 

টিনের  চালে নুয়ে ছিলো  গাছে পাতা,তুমি এসেছিলে।

মনে পরে কি সেই বেলা?

একে ছিলে চিত্র  বসে,

প্রতিশ্রুতি  দিয়ে ছিলে ভুলবেনা এই ভবে।

খাঁচা ছাড়া সকল পাখি।

আমি একা বসে সুর তুলি।

থাকুক  না  কিছু  সৃতি, একলা আমি যন্তে রাখি।

দুপুরে  ঘুঘুর  ডাকে।

আমি রইবো তোমার ফেলে  যাওয়া গানের সুরে।

 

 

 

F অন্ধকার   বেশ ভালো

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

------------------------------------------

 

কি অসুখ?

কি যে হয়েছে  আমার। 

মনে কোনো  রঙ নেই। 

ডায়রির পাতা গুলো যেনো ঝাপসা, 

ছুতেই ইচ্ছে করে না।

কলমটা হাতে নিলে হাতটা অবশ।

শরীরটাই যেনো  হাজারো  বেরামের বাস।

হৃদয়  যেনে চিরো রুগী। 

চোখ যেনো  অলস,থাকতে চায় বন্ধ বেশে।

ভেতর  থেকে  মাঝে  মাঝে  বলে চল যাই, 

না ফেরার কোন দেশে।

হৃদয়  ঘরে শুধু  হাহাকার।

ভেতরটাই আমি নেই, প্রচন্ড  শূন্য। 

একাকীত্বের ছায়া।

স্বপ্নে যেনো তুমি না থাকার কান্না। 

কবিতা গুলো মাঝ পথে,

শেষ  পথটা  হয়নি তাদের  হাটা।

মাঝে  মাঝে, একা বসে,কি যেনো ভাবি। 

আয়নার  সামনে দাড়াই  চিনতে পারিনা,

কে ওটা এতো অগোছালো রুক্ষ মরুভূমি। 

আলমারি তে পড়ে আছে স্বাদের শাড়িগুলো 

দেখা হয়নি তাদের সাথে  অনেক দিন। 

পাশের ড্রয়ারে ঝুমকা, চুড়ি, 

বলছে তারা, কিরে ভালোবাসাই আড়ি।

আমি তো আর পারছিনা ডাকছে আমায়  অন্ধকার  বাড়ি।

ঘৃণা জমে  কঠিন  শিলা।

মনে যেনো শান্ত। 

বিরক্ত  এতো নিজেকে নিয়ে,চেনা পথো লাগে কঠিন। 

ঘন কালো ঝাউবনে একা আমি মাঝ খানে,

কাটা বিধে রক্ত  মাখে আলতা পায়ে।

ঝড়া পাতা লালচে রঙিন। 

পঁচা  গলা গন্ধে বিষাক্ত  বাতাস।

নয়ন তরে খরা জমে কঠিন  ফাটল বুকে।

আলো যেনো ভয় লাগে।

 অনূভুতিরা আজ হাহা করে খিল খিলিয়ে হাসে।

ভিতর  থেকে আমি বলি বদ্ধ থাক অন্ধকারে।

বেকুলতার হাসফাসিয়ে বলে ক্লান্ত মনে,

আলের সীমানা ছাড়িয়ে কেন চাস অন্ধকার? 

অন্ধকার  যে  আমায় ছাড়তে নারাজ।

আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে রেখেছে তার ভালোবাসায়।

অন্ধকার বেশ ভালো

 

 

 

F  জ্বলের সংসার 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

----------------------------------------

 

তুমি কি মেঘ?

কি গাঢ় গভীর। 

অথচো ছুয়তে  গেলে নেই। 

তুমি কি জল?

কী সচ্ছ সহজ। 

অথচো প্রলয় নিমিষেই। 

তুমি কি ছায়া  আমার? 

যাকে শুধু দেখতে পাই।

অথচো ধরতে পারিনা।

কি যে বলি তোমায়? 

বলতে গিয়ে আমতা আমতা করতেই  শুরু শেষ। 

কথায় আছেনা রৃদ্ধি যে দিকে যায় সগর শুকিয়ে মরুভূমির। 

লিখতে বসলাম তোমার কথা, 

চোখের জ্বলে ভিজে ডাইরির পাতা। 

ভাবছিলাম  গড়বো উপন্যাস, 

শুরুতে ঠিক ঠাক মাঝ খানে থমকে যায় কলম। 

কালি শেষ, কি করে লিখি শেষ টা তো অবহেলায় ভরা।

তোমার  প্রতি  অদ্ভুত  মায়া।

কিছু নেই  বাকি অথচো পড়ে আছি।

সম্পর্ক নেই  অথচো  সংকোচ। 

তবুও  ফিরবো না তো আমিও।

তফাৎ  কিন্তু তবুও  আছে। 

তোমার আছে হাজারো অজুহাত। 

আমার  নালিশ  গুলো  কাচের মত। 

তুমি  আমায় ভুলে  যাও,

আচ্ছা  আমি কি তোমার  ভুল?

আমারা  তো সংসার পেতেছিলাম খেলা ঘরে?

গোপন  সিন্ধুকে খুব  যন্তে তুলে রাখি।

পুকুরের  মরা ঝাঝি হাতে  নিয়ে 

আচ্ছা  মনে পরে  জলের  সংসার। 

একটু হাসি না ফুরাতেই হৃদয়  চিড়ে তেনা।

তুমি  সত্যি , কিন্তু  আবার  সত্যি না?

তুমি গল্প  তবুও  কল্পনা? 

আকাশ সম্মোহন করে তার মায়,

কাছে গিয়ে  দেখি সে সব কিছু না।

নীল নামক মিথ্যে  নিমন্ত্রণ। 

আমি তো খুব সমান্য তুচ্ছ  প্রমিকা মাত্র। 

তবে বলা হবেনা ভালোবাসি,

বায়না  করা শুনেছি  নিষেধ। 

ভালোবাসি খুব অপেক্ষার  সংসার। 

 

 

 

F আলোর রঙ মিছিল 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------

 

যান জোটের গাড়ি ঘোড়া হাজারো  মানুষের ভীড়,

মেলার  মত জমজামাট  এই  শহর দিনের আলোয় । 

কিন্তু  রাতের অন্ধকারে প্রচন্ড  শান্ত। 

ল্যাম্প পোষ্টের নিচে দাড়িয়ে  ভাবি একটু পর নামবে ভোর।

সূর্য  আলো দিবে, নতুন  দিনের  সূচনায় 

আবার শুরু  হবে চলাচলের মিছিল।

কি  কষ্টই না সহ্য করতে  হয় এই রাস্তা  গুলোকে, 

যদিও  এরা জড় পাদার্থ ইট পাথরে গড়া।

আমার  মত রাত জাগা দুই তিনকে কয়টা পথিক,

কেউ বা হাতে বই,

কেউ পায়চারি  করে এপাশ থেকে ওপাশ হয়তো কারো অপেক্ষায়।

ফুট পাথের কয়টা অবুজ প্রাণী পাহারা দিচ্ছে  আমায়,

মাত্র  একটা  বিসকিট দিয়ে যেনো কিনে নিয়েছি আমি,

মানুষ  কে টাকা  পয়সা ভালোবাসা  দিয়েও যেনো শত্রু।

কি নিয়ম , আলো দিবে মনে হচ্ছে  আকাশ  লাল।

যেতে হবে আমায়  আমার  কাজ নেই আর।

আমি তো রাত জাগা পাখি।

একজন কে দিনের আলোই  খুব  ভালো বাসতাম।

সে আমাকে রাতেই  অন্ধকারে  কষ্ট  দিবে বলে চলে গেছে। 

এতো অয়োজন রঙের  খেলা এসব আমার  কাছে  তুচ্ছ , 

সামান্য  বিলাশিতা মাত্র ।

আমার কাছে অন্ধকার  মানে

বিলাশ শূন্য বুকে একরাশ ভালোবাসা। 

রাত টাই কারো জিবনে বয়ে আনে কষ্ট, 

আবার  কারো সুখ। 

ভেঙে  যাওয়া মানুষ  গুলো কষ্টে কাঁদে একা।

ভেঙে  দিয়ে যাওয়া  মানুষ  গুলো

রঙ মহলে আমদ ফুরতিতে মাতে।

কেউ শান্তিতে  ঘুমায় চারটা খেয়ে  ফুতপাতে।

আবার  কেউ  পাঁচ তালা বিল্ডিং  পাহাড়া দেয়  অশান্তিতে।

সবাই  বলে রাত ভয়ংকর, ছলনাময়ী।

আমি বলি দিন প্রচন্ড  বড় মাপের  গিরগিটি। 

আমার  মানুষটা দিনের  আলোতেই

হাজারো  মানুষের রঙ মিছিলে হারিয়ে  গেছে। 

আমি তো রাতের রানি। 

তাই তো কোনো  দিনের কাছে নতো হয়নি আমি।

তাকে ছেড়ে  দিয়েছি দিনের আলোতেই ।

আমি তো কোনো গনিতের  উপপাদ্য নই,

যে বার বার প্রমান করবো।

 

 

 

F সে কি আসবে? 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

------------------------------------

 

আমি দূর থেকে দেখেছি তাকে।
তার
  মনটা তুলোর মতো নরম কোমল।
সাদা মেঘের
  প্রলেপ যেন তার শরীরে,
হাসির
  সোল উড়ছে তার মুখের  আদলে।
শিমুল ফুলের মতো সুগন্ধি
  ছড়ায় না।
কোনো
  মৌমাছির আনাগোনার ভায় নেই।
মধু পাহারার প্রহরী হবার তাড়া নেই।
রুপকথার
  রাজকুমার  যেমন  সুদর্শন ।
শীতের
  মিষ্টি  রোদে মতো, তার কথা বলার ধাঁজ।
রঙ বেরঙের
  স্বপ্নের  চন্দ্রদীপ
গোধূলির শেষ
  প্রহর।
আলো কমছে ক্রমশ, সন্ধ্যা
  হবার তাড়া।
দূর
  থেকে   ভেসে  আসে  ঝাপসা  নীল।
কিছু
  কথা কিছু সৃতি বড্ড  মনে লাগার মত।
কিছু টা
  অস্পষ্ট।
সত্যি
  কি অস্পষ্ট, নাকি ঝাপসা, নাকি নয়?
সেই
  সময়  যখন সে আশেপাশে  ছিলো  আমার।
প্রথম
  পলকে যেনো এক  আকাশ  ভালো লাগায় মন সাড়া দিয়েছিলো।
এক মুহুর্তের জন্য
  প্রেমে যেন তার নীল  সাগরের প্রতিচ্ছবি।।
তার ভাবনায় সাগরে ঢেউ
  গুণতে গুনতে কখন যে
মাঝ সমুদ্রে গেছি
  খেয়ালি করিনি।
ঢেউ গুলো ফিরে
  দিচ্ছে, তার বিপরীতে।
আর
  যাবার  বেলায় বলো অপেক্ষা  করতে,
সে আসবে।
সত্যি
  কি আসবে?
যদিও আসে, পরন্ত বিকেল
  কেনোই বা গেলো?
আমি তো পিছু নিয়েছিলাম,
কেনোই বা ফিরিয়ে
  দিলো?
তার বাগানে
  কি সত্যি  প্রহরীর নেই  কাজ।
মৌমাছির নেই বলে তাড়িয়ে দিলো নাতো?
গোধূলির তারায় কি ভুল
  নয়নে আমি,
সে কি সময়ের হাত ধরে চলতে চায়, নাকি আমার।
আমার তো
  সময়ের  সাথে আড়ি,যুদ্ধ  করেছি বার বার,

আবার সময়ের  কাছে হেরে যাবো না তো আমি?
আমি কি
  ভুল করলাম?
আমি তো
  তার চোখে আমার  জন্য  প্রেম দেখেছি।
আমি তো দেখেছি ঘাড় নারিয়ে আমার ডাকে সারা দিয়েছে
 সে।
যদিও
  ডুবে  যাচ্ছি চোরা বালির তলদেশে।
প্রশ্ন হাতে
  শেষ  প্রান্তে খুঁজে কি সে।
নোটিশ
  গুলো যেখানে  জীবন  জড়।
পরাধীন
  সব স্বপ্নের সীমান্ত রেখার  চুড়ান্তে।
সে পারবে কি আদৌও সে কথা
 জানতে?
মনে পরবে কি পরন্ত বিকেলের অনুভুতি?

 

 

 

F হারাতে চাই না। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------

 

আমি  তো হারাতে  চাইনা,মাগো তোমায়।

জম্ম নিয়েছি  তোমার  গর্ভে।

আকাশ পাতাল  কষ্ট নিয়ে  আমায় এনেছো এই ধরায়।

আমি তো এখনো  খোকা,

ছুঁয়ে থাকতে চাই তোমার  আচোল।

ঘুম ভাঙ্গে তোমার  না থাকা শরীরেল গন্ধে।

আমি তো  এমনটা চাইনী।

তোমাকে ছেড়ে  যেতে  চাই না।

থাকে  চাই তোমার  সাথে। 

মাগো ভাগ্য  দেবতার  কাছে নালিশ দিয়ে, 

তবুও  আনিবো তোমায় ফিরে। 

মাগো তোমার  না থাকা সৃতি, 

একটু আড়াল হতে ভেসে উঠে। 

প্রার্থনা করি আমি,  যেনো  না থাকি।

তোমার আগে ওপরে আমি,মালা গাথি।

তুমি এনোছো মাগো রক্ত  পাতে,ধরনীর বুকে।

জন্ম থেকে জন্মান্তরে।

মাটিতে রাখনি মাগো সোনার ছেলে, 

পিপিলিকায় কাটবে বলে।

সুখের  প্রদীপ  দেখার  আগে।

যেতে দিবোনা  নয়ন জলে।

আগলে রাখো আমায় তুমি,বাস্তবতা  অনেক কঠিন।

তুমি  বিনে মাগো  জীবন  যুদ্ধে  পরাজিত  সৈনিক  আমি।

বুকে রাখো মাগো তুমি,

কাল হতে কালান্তরে। 

তুমি  ছাতা হয়ে  আগলে রেখো, 

যুগ হতে যুগান্তরে।

 

 

F উৎসর্গ 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-----------------------------------

 

শুনেছি কোনো এক পাখি যেনো

একবার সাঙ্গি হারালে বা মারা গেলে নতুন করে জোট বাধেনা।

তাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করলো।

আচ্ছা সে কি কোনো বিদেশি পাখি।

তার সঙ্গীর  কতো রুপ,কিবা আছে গুন,

কি আছে তার মাঝে। 

কতোটা ভালো বাসে,  তার থেকে জানার ইচ্ছে। 

কতো কৃপন হৃদয়ের অধিকারি সে,

দ্বিতীয়  সঙ্গীর  জায়গা নেই। 

খুব দেখার ইচ্ছে। 

একটু খোঁজ  নিয়ে দেখলাম,তাকে দেখে আমি আবাক।

চোখ গুলো বড়োবড়ো কপালে যেনো উঠে।

 সে পাখি আর কেউ  না, নয় সে বিদেশি।

সে দেখতে অদ্ভুত  কালো,মানুষ তাকে  অসভ্য বলে।

রঙ নেই  গায়ে সাদা,  আন্ধাকারে  দেখা যায়না, 

কালো যে তার রঙ,তাই তো মানুষ  নাম দিয়েছে কাক।

মানুষ  তো বরাবরি সুন্দরের বিচার  করে গুনের না।

মানুষ  তো  অসভ্য  নয়। 

তাদের  মন বিলাশ সমুদ্র  

তাই তো এক সঙ্গী  থাকার  পরে খোঁজে   সঙ্গী ।

মোন যে তাদের  উদার সমুদ্রের মত।

কাক তো  অসভ্য  

তাই তো সে এক  সঙ্গীকে জীবন করে উৎসর্গ। 

 

 

 

F অসমাপ্ত উপন্যাস। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-------------------------------------------

 

 

তুমি দূরত্বের  বীজ বপন করেছো,
আমি যন্তে আগলে রাখি।
মেঘে ডুবে
  বিষাদের রঙ,

সময়ের হাত ধরে রঙ বদলায়।
পেয়েছি কতো যন্তনা,শুনেছি কতো গল্প
  কল্পনা।
তাই তো
  আমি আমার  রাজত্বে  একলা।
হাওয়া বদলের
  সুর ধরে সত্যিরা আজ দিশাহারা।
কবে ডুবে গেছে
  গোধূলির  চর।
অকুল সমুদ্রে সাতার কেটে হয়রান,
তবুও তুৃমি নামক খরকুটো অজুহাতে মগনো।
আবহেলা নামক ব্যাবহার আর দূরত্ব
  মামক  বীজ মিশ্রনে

তৈরি  করেছো বিচ্ছেদ  নামক প্রাচীর।
তুমি এসেছিলে ধীরে ধীরে।
আর
  যাওয়া  বেলা এতো গতি,
আমি তো কোনো দিক পাচ্ছি
  না ,
কোথায়
  হবে  তোমার  বাস।
আমি
  তোমার  না বলা কথা  শুনতে পাই।
একটা রাত জাগার থেকেও,
আমি বিরক্ত
  নামক বস্তু  তোমার কাছে।
নষ্টে পড়ে থাকা হাত ঘড়িটার থেকেও
  আমি অবহেলিত।
তুমি নাই বা বলো মুখে।
প্রথম অধ্যায় শেষ
  দ্বিতীয়  অধ্যায় বাকি।
বার বার ডেকেও
  যখন  পাইনি, বুঝে যাই তখন।
আমার
  মন খরাপ  তোমায় স্পর্শ  করেনা।
স্পর্শ
  না করে আমার  মন খরাপের  কাব্য।
এক বিন্দু
  কষ্ট  হয়না আমায় আঘাত  করতে?
আজ কাল নয়তো বা পরশু।
কিন্তু
  ঠিক একদিন তোমার জীবনে এমন দিন আসবে,
প্রচন্ড
  ভাবে অভাব টের পাবে নীলার।
মনে রেখো তুমি
  এক অসমাপ্ত  উপন্যাস,
শেষ
   অধ্যায় লিখতে  দিলেনা।
শেষ
  টাকে দেখবে না বলে
যেখানে
  সত্যি মিথ্যােকে আড়াল করে রাখলে।
ধামা চাপা দিলে
  আমাকে,
লুকিয়ে রাখলে কথার জ্বালে।
শেষ
  হয়েও যেনো,   হয়না শেষ।
এমন করে শেষের সত্যিটা আর
  জানবেনা তো কেউ।
শেষটা আর
  পড়বেনা তো কেউ,
অসমাপ্ত উপন্যাস।

 

 

 

 

 F আমি ঠিক চিনে নিবো। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-------------------------------------

 

আজ না হয় কাল,নয়তো এক যুগ পর।

আমি কিন্তু  ঠিক  চিনবো তোমাকে।

ঠিক বুঝে নিবো তোমার  ঠোঁটের স্পর্শ। 

হাজারো ভিরের মাঝে  খুজে নিবো

 তোমার মাঝে  আমি  টা কে।

সে এখন দেখা হোক অথবা  শতবর্ষ পর। 

আর তো বাপু  ভালো লাগে  না এত যুক্তি তর্ক।

সমস্ত  বাস্তবতার  মান অভিমান চুকিয়ে  

দাড়াবে যখন আমার  সমনে, 

দৌড়ে  গিয়ে   ঝাপটে ধরবো।

আমার  তোমার দূরত্ব  মিটিয়ে  দিবে এক নিমিষেই  কবিতা।

তোমার দূরত্বের গড়া পাথর গুলো কে আমি 

সেতুতে রূপান্তরিত  করবো।

তখন কি তোমার আমার রোজ দেখা হবে? 

দুঃখ নদীর উপর সুখের মিলন হবে? 

আমার  সব নালিশ  তোমাকে  নিয়ে শিল্পীদের শুরু। 

আচ্ছা  তুমি এমন কেনো বলতো।

কেনো এতো  দূরত্ব  আঁকো। 

আমি স্বীকার  করছি  আমার দেখা  সব থেকে কঠোর লোক তুমি।

তার পরেও কেন  রোজ মনের কোনে ব্যথা অনুভব  হয়?

এক পলক দেখবো বলে।

তুমি সব থেকে খারাপ  প্রেমিক এই পৃথিবীতে। 

তার পরেও কেন তোমার কাছেই বায়না করতে ইচ্ছে করে?

তোমার  যত অপারগতা  আমি পুষিয়ে দিবো আমার  গানের সুরে,

আমি তোমাকে ঠিক চিনে নিবো,

আমি ঠিক বুঝে নিবো  তোমাকে,

হাজারো মানুষের ভিড়ে। 

 

F হারাতে চাইনা কোন মতে। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা।

---------------------------------------

 

 

আকাশ  তলে একলা  বসে কাঁদতে  আমি চাই না।
বুকের ঘরে রাখি
  তাকে আগলে।
সে যন্তে
  বসে পুতুল বেসে।
জীবন ঘাটে খেয়া পারে পাল তুলবো দুইজনে।
আমি হারাতে চাইনা তাকে,জীবন পাকে।
তাকে ছাড়তে চাই না দীঘির
  সেওলায় সবুজ ঘাসে।
দেখতে চাই না দূর
  থেকে পথিক বেশে।
আশা গুলো প্রজাপতি
  ধরা  দিয়েছে তার মুঠোয়।
তাকে হারিয়ে শূন্য
  হতে পারবো না আমি।
চোখের
  কোনে  জমে থাকা কালি,
বুকে নিয়ে ভিষন ক্ষত,
অশ্রুর জলধারা
  ঝড়াতে আমি পারবোনা।
একা আমি নীড় হারা পাখি হতে নাহি চাই।
আমি আমার
  ছন্দ  গুলোর  অকাল মৃত্যু কেমনে দেখবো  বলো।
ছন্দ
  গুলো তাকে ছাড়া  বিরহে বাঁধে সুর ও তাল,
একলা আমি
  বুনতে নাহি পারি কথার জাল।
আকাশ
   সীমানা পাড়ি দিতে  চাই তার ডানার ভর করে,
আমি তাকে ভুলতে
   পারবোনা কোন মতে।
আমার
  প্রতি টা  ডাইরির পাতায়  একান্ত  তার পংক্তিমালা।
পড়ন্ত
  বিকেল  সে আমার  একলা চলার পথিক।
হারিয়ে যাবে সে যেনেও ধরেছি হাত।
আমার
  প্রতি টা  কাব্য  তার কথা বলে, নিরজনে নীরবতায়।
একটু আড়াল হলে
  কাব্য গুলো করে আড়ি।
সে একটু চুপ হলে ,
তুফান বেগে ছন্দ গুলো
  মিলিয়ে যায়  বলে সে আসুক।
আমি হারতে চাইনা নীলের
  তৈরি  কাব্য  টাকে।
হারাতে চাই না মন তোমাকে।
সাত জন্মের
  কথা বলার স্বাদ এক জন্মে  নিতে চাই।
চোখ বুজে তৃপ্তি নিয়ে যেতে চাই তার বুক থেকে
  মরন দেশে।
হারাতে চাই
  না  তাকে কোনমতে।

 

 

 

F পুষিয়ে দিবো ঋণ।

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-----------------------------------------------

 

এই যে শুনছেন আপনি। 

আমি তো আপনার  ভালোবাসায়  অনেকটা  ঋনী।

একটু সুযোগ দিয়েন সময় করে 

সমপরিমানে চুকিয়ে  দিবো  ঋণ।

আজ এই প্রভাতে   নতুন করে  আবিষ্কার করেছি  নিজেকে।

আমি হয়তো বন্ধ  কারাগার থেকে মুক্তি  পেয়েছি  আজ।

আজ সকাল টা  উন্মুক্ত, অনেক শান্ত।

আপনাকে ভেবে দুই লাইন লিখতে পারি।

অতীতের  সকাল  গুলোতে এক বিশাল  শূন্যতা অনুভব করতাম।

আপনি কিন্তু  একটা  মুক্ত, 

যাকে শুধু  ভালো বাসা যায়।

আপনার  পরশে নিজেকে আজ দামী মনে হয়।

কিন্তু  ভয় হয় প্রভাতে ভালোবাসি।

দুপুরের রোদে আবার  ক্লান্ত  হবো না তো।

আপনি  আমার কাছে   বাস্তবতার জীবন কাঠি। 

প্রতীক্ষার  বেদনার দেওয়াল  সরিয়ে দিয়েছেন।

নিজর যুদ্ধে হেরে নিখোঁজ পথে,

নিজ হাতে  তলোয়ার ধরলেন।

ক্ষত-বিক্ষত তীর  বিধেছিলো বুকে,যন্তে ঔষুধি হলে।

সময়ের কাছে  অধৈর্য ,পালাতক আমি।

নিজ দায়িত্বে সময় বদলে দিলেন প্রিয়,

সব পুঁজি হারিয়ে যখন আমি সর্ব শান্ত,

বন্ধু নামক একটু ভরসা  দিলে।

আলোর দিশা নেই, অন্ধকারে ডুবে, 

একটা অগ্নি  শিখা হয়ে বলেছিলে আপনি

আমার মত  ভিক্ষুক।

 

 

 

F দিলাম তোমায় মুক্তি। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-----------------------------------------

 

আজ আপনার  মুক্তি  জানেন?

খবর তো রাখেন না কিছু। 

আজ আমি  নামক বিরক্ত থেকে মুক্তি। 

আপনি  তো আদালতে মামলা  করেছিলেন,

আমায় নিয়ে?

আমি  নাকি সব নষ্টের মূল। 

আজ  আমার  কাছে  চিঠি এসেছে উপর মহল থেকে। 

কত কঠিন কঠিন উজড় আপত্তি, 

কতো নালিশ আমায়  নিয়ে।

ডেকেছে  আমায় বিচার পতি  

বাস্তবতা নামক হাই কোটে।

মন অনেক লজ্জিত, কি বেহায়াপনায় না করেছে সে।

আপনার  আবহেলা গুলো স্বাক্ষী  দিচ্ছে। 

ভালোবাসা গুলো  নাকি একান্তই আমার।

আপনি  দূরত্ব বাড়াতে চান,আবহেলা তো তাই বলে। 

তখন  বিবেক গুলো বলছে 

বিবেচনাকে নিষেধ  করেছিলাম শুনেনি কথা।

আবেগ  গুলোকে নিয়ে  বসলাম, 

সব শেষে ইচ্ছেরা বলে আমায় কষ্ট  করে  মানিয়ে  নে।

অভিমান গুলো বলছে মুক্তি  দে।

স্বপ্নেরা বলছে আনায়াসে  ছন্দে যারা গড়তে পারে কাব্য, 

তাদের  পাশে  কেউ  থাকেনা,

চলতে হয় একলা  এটাই নাকি তাদের ভাগ্য। 

কল্পনারা বলছে  তাই,

হারানো  সুর যদি কুড়িয়ে পাওয়া যেতো  দিপান্তরে। 

তাহলে তুইও রাখতে পারতি বেধে  তাঁকে  শত পাহারার মাঝে। 

এতো কঠিন নালিশ  তোকে নিয়ে তার রাজ্যে,

কেমনে থাকবি সাথে, এতো ছোটো  হয়ে।

জোর করে কেমনে রাখবি ধরে, 

সে তো চায় না  থাকতে তোর  সাথে।

কবিতা গুলো উঠছে ভেসে,

যে তোরে বুঝতে  পারেনি  কাব্যের ছন্দে।

মন তো  এতো কিছু বুঝেনা, 

বলছে সে ইগোর কাছে হেরে যাচ্ছে  সে।

হৃদয় মানছেনা,বলছে তার হৃৎস্পন্দন  এই বুকে।

ভাবছি আমি করবো কি,নালিশ গুলো বড্ড কঠিন। 

তাই তো তাকে  মুক্তি দিলাম খোলা আকাশের মাঝে। 

শিল্পীরা যেমন বেঁচে থাকে তাদের  শিল্পের মাঝে। 

আমি না হয় বেঁচে থাকবো আমার  গড়া নীলকাব্যে।

মুক্তি  দিলাম আপনাকে,মুক্তি  দিলাম জীবন যুদ্ধে।

খুলে দিলাম কাব্যের বন্ধন।

উড়িয়ে দিলাম ছন্দ গুলো। 

সৃতি গুলো  বড্ড  শক্ত,পিছুটানে বার বার।

বোঝা  পড়ার হিসাব কষে নিজেই আজ শূন্য। 

তাই তো দিলাম আজ মুক্তি। 

আহত  মনের দেওয়ালে মাথা ঠুকে মায়া।

তবুও আনবোনা টেনে  আর কাব্যের ছন্দে। 

মিটিয়ে দিয়ে দেনাপাওনার চুক্তি, 

দিলাম তোমায় মুক্তি।

 

 

 

F পথের খোঁজে 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------

 

খুঁজছি আমি  সেই  পথ।

যেতে হবে বহুদূর। 

যেনো ছুঁতে না পারে কেউ। 

কোথায়  পাবো সেই  ঠিকানা  স্বপ্নে ঘেরা।

তাই তো খুঁজে বেড়াই সকল সন্ধ্যা। 

মানুষের মন আর এই শহর

দুইটায়  যেনো এক ধাতুতে গড়া।

তফাৎ  কিন্তু  তবুও 

জীব আর জড়ো।

খোলা  আকাশ  পাবো কোথায়।

মুক্ত  হয়ে ডানা মেলার খেয়াল।

নিয়ম নামক শক্ত  দেওয়াল,

ভাঙ্গার  সাহস নেই আমার ।

তাইতো খুঁজি  সেই বাতাস। 

কোথায় গেলে পাবো আমি,

সুতো ছাড়া  ঘুড়ি। 

পাবো কবে বেচেঁ থাকার আস্বাদ।।

 কোথায় সেই খেয়া তৈরী। 

কোথায় সেই   পথ।

কোথায় পাবো হিমেল হাওয়া। 

কবে পাবো তুমি নামক বিপদ  মুক্ত  আস্তানা।

কবে মিলবে ভরসা মাখা নিশ্বাস  বুকে।

কবে পাবো সেই ঠিকানা, 

মিলবে কবে সেই পথের  দিশা।

 

 

 

F তুমি তো সেই আলোর প্রদীপ। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-------------------------------------------

 

আমি ছিলাম ঘোর অন্ধকারে, 

হঠাৎ তুমি এলে কোন যানি  এক অচেনা রাজ্য থেকে,

তুমি এলে আলোর প্রদীপ হয়ে। 

আমার ভীষণ  রকম মন খরাপে , 

তুমি হয়ে এলে মন খারাপের ঝুড়ি।

মন খারাপের সমস্ত কারণ গুলো নিলে সব কুড়িয়ে। 

যেমন করে  ঝড়ের  শেষে কুড়ায় আম মনের  আনন্দে।

তুমিও  ঠিক  এমন করে,

আমার জীবনে  এনে দিলে  সকল ঝড়ে যাওয়া খুশি।

পেলাম খুঁজে  বাচার আনন্দ  শুধু  তোমায় ঘিরে। 

আমার  আকাশে ছিলো কালো মেঘের ঘনঘটা।

তোমার  আকাশের বিশুদ্ধ বাতাস  দিয়ে করে দিলে পরিচ্ছন্ন নীল আকাশ।

মুক্তি  দিলে কালো মেঘ।

তুমি তো সেই  স্বার্থহীন আলোর  প্রদীপ। 

আজানা ছিলো জীবন রঙ, 

হারিয়েছি সেই কবেই  রংতুলি,

আমার শিল্পহীন জীবনে হয়ে গেলে তুমি রং তুলি।

অপূর্ণ  ছবি টা আঁকলাম  আমি,

জীবন্ত  চোখ যেনো জলরাশি। 

পারতাম আমি একটু আকটু  কবিতা লিখতে, 

তুমি তো সেই কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা।

বলতে বেশ ভালো আমি,লিখতে পারি কবিতার ছন্দ, 

তুমি তো আমার সেই ছন্দ,

তাই তো পাই  নতুন করে, নতুন লেখার আনন্দ।

তুমিও  বেশ  মুচকি হেসে  নাম দিলে  কবিতা  রানী।

বেঁধেছি ঘর সাগর  তীরে, সময়ের স্রোত  দিলো ঘর ভেঙে। 

অনুসুচনায়  চোখের কোনে এলো জ্বল রাশি,

তুমি  তখন ব্যস্ত হাতে নিয়ে  এলে গানের  আন্তাক  সারি।

জ্বরে কাতর  আমি  কপালে তোমার  চিন্তা  ছাপ।

তুমি তো সেই আমার আলোর  প্রদীপ। 

তুমি তো  আমার সেই  বেঁচে থাকার মন্ত্র।

আজ আমি ভীষণ  খুশি,কে পায় এমন প্রদীপ। 

অন্ধকারে  ভয় নেই  আমার , 

আছেই  তো সে পাশে হাতটি ধরে,

রাতের আকাশের চাঁদ হয়ে,

তুমি আমার আলোর  প্রদীপ।

 

 

 

 F তুমি কেন চাইলানা? 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

------------------------------------------

 

আমারে কেন চাইলানা?

আমারে তোমার জীবনে চাইলে কি,

খুব বেশি ক্ষতি হইত।

আমারে এক বিন্দু  আশার আলো দেখাইলা কেন?

দেখাইলা যদি আবার  নিভায়া গেলা কেন?

সারা জীবন  আলো হইয়া  আইলে কি, 

তোমার  খুব ক্ষতি হইতো?

তুমি এমন  কইরা পর হইয়া গেলা কেন?

একটু খানি আপন  হইয়া থাইকাই বিরক্ত  হইয়া গেলা?

তুমি কেন উড়িয়ে  গেলা?

শিমুল  তুলার  মতো? 

আমি তো তোমার  থেকে রাজ্য ছিনিয়ে নিতে চাই নাই।

আমারে তুমি ভয় পাও কেন?

আমি  বেশি  কিছু  চাই নাই তোমার কাছে। 

তোমার  লগে মৃত্যু নদী  পার হইতে চাইছিলাম।

তুমি  কেন দিলা এই  একাকিত্বের যন্ত্রণা? 

আমারে কেন তুমি  যন্ত্র কইরা আবহেলায় দূরে ঠেইলা দিলা?

খুব বেশি  ক্ষতি হইতো কি আমারে একটু খানি কাছে রাখলে?

আমি তো চাইছিলাম সবুজের বুকে উপত্যকা করতে,

দিতাম বসে আল্পনা? 

খুব বেশি  ক্ষতি  হইতো কি?  

আমার তুলির রঙের ছোঁয়া অনুভূতি  প্রকাশ  করতে,

তুমি শেষ বিকেলে খোঁজ টাও নিলানা।

কেন আমার  লগে তোমার  এতো  যুদ্ধ?

তোমারে লইয়া আমার মনের বেকুলতা জানতে মোটেও চাইলানা?

কেন চাইলানা জানতে?

খুব বেশি ক্ষতি হইতো কি?

একটু খোঁজ  খবর নিলে?

আমার  কষ্টের দিন  দেখার সময়  নেই  তোমার, 

সময়ের  মূল্য তোমার  অনেক  বইলা  চইলানা, 

যাবার কালে একবার পিছু ফিরাও  দেখলা না।

তোমারে লইয়া  তো কোনো  অভিযোগ  করি নাই  আমি?

কেন ভুইলা গেলা?

মনটা তবুও  বলে তোমার কাছে  যাইতে,

তোমারে একটা বার ছুইয়া দেখতে?

বিবেক তখনই  বইলা উঠে, 

পাষাণের কাছে যাইতে  নাই, 

হে তোরে বুঝবো  না,

তোরে আঘাত  করবো,রক্তাক্ত কইরা নতুন করে ছুড়ে ফেলবো।

বিবেকের কথা না মাইনা

তোমার  লগে মৃত্যু নদী পারাই তে চাইলাম। 

রাখলে একটু আবার  ফিরায়া দিলা? 

কেন  দিলা?

খুব বেশি ক্ষতি হইতো  রাখলে তোমার লগে?

কেন ভরসা  করলে না, 

আমি তো আমৃত্যু  তোমারে লইয়া  থাকতে চাই। 

তুমি কেন পারলানা?

 

 

 

F তুমি এসো ছদ্মবেশে।

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

--------------------------------------

 

যদি  আসো তুমি,

সারা  রাতের অফিস  শেষে,  

আসো যদি রুক্ষ বেসে,

যদি থাকে চোখের  কোণে  ক্লান্তি জমে,

সেও ভালো আমি ভোরের শিশির  ছুঁয়ে দিবো,

কালো মূখখানি ভোরের  আলোয় জড়িয়ে নিবে।

যদি দেখা হয়,

 ক্লান্ত দুপুরে  কড়া রোদে, 

যদি ঘাম ঝরে তোমার কপাল বয়ে, 

সেও ভালো মুছে দিবো তোমার কপাল, 

আমার  শাড়ির আঁচল দিয়ে।  

আলমারিতে  রাখবো  তোমার মায়া ভরা হাসি,

যত্নে আছে জমা যেথায় স্বপ্ন রাশি রাশি। 

গোধূলি বিকেলে আবছায়া আলোই ঝড় যদি উঠে মুক্ত বাতাসে,

খুলে যায় যদি  আমাদের  বন্ধণ সেও ভালো,

আমি নতুন  করে জুড়বো আবেগ দিয়ে খুলে যাওয়া বাঁধন।

যদি আসো  ঝমঝমে এক বৃষ্টির  মাঝে, 

আমি বিজলির  আলোই দেখবো,  

ভয়ে তোমার চোখ বন্ধ রাখা।

তুমি আসো যদি ঘুটঘুটে এক অন্ধকারে  রাতে, 

আমি প্রদীপ হাতে ঠায় দারিয়ে থাকবো 

উঠান পারে তোমার  অপেক্ষায়।

যদি আসো বসন্ত  মাসে,

হাজারো  ফুলের  ভিতরে খুঁজে  আনতে  বলবো কাঠগোলাপ। 

যদি আসো তুমি কোলাহলের ভিড়ে কোনো  এক রাস্তার  মোড়ে,

হাঠবো তোমার সাথে নাম না জানা কোন এক পথ ধরে।

যদি আসো তুমি কুয়াশার এক সকালে, 

চারদিক  ঝাপসা আলোর মাঝে চাদোর মুড়ি দিয়ে বলবো ভালোবাসি।

যদি আসো তুমি  তোমার মন খারাপের মাঝে, 

আমি মাতাবো তোমায় আমার  দুষ্টামিতে।

যদি আসো বাস্তবতার টানা পোড়ার বিরক্তি নিয়ে,

তাও ভালো আমি সকল  দাগ মুছে দিবো ভালোবাসা দিয়ে। 

তোমার  হৃদয় টা ভেঙে গেলে  তাও ভালো,

তুমি এসো আমি জুড়িয়ে  দিবো আমার  হৃদয়  দিয়ে।

 

 

 

F খেলাঘর।

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

--------------------------------------

 

তুমি না প্রশ্ন করেছিলে আমাকে? 

আমি কে?

তোমার  আমার  মাঝে  কি সম্পর্ক?

কি নাম দিবে আমাদের সম্পর্কের?

আমি তখন  উত্তরে মিষ্টি  হেসে বললাম খেলা ঘর।

কিন্তু  জানো  খেলা ঘর নামটা কেনো দিলাম আমি ,

আমি তো যানি তুমি আমার না, 

তুমি  অন্য  কারো  আমার  হাতে সাজানো পুতুল।

এতে তোমাকে দোষ  দিবোনা,

দোষ সব আমার, 

ভাগ্য  বিধাতার  কাছে সুখ  আমার  অল্পো।

তুমি নামক বিলাসিতা  নেই  আমার  জীবনে,

তার পরেও মিথ্যে আশা করি। 

একটা  নীরব মহামারির  অভিশাপে হারিয়ে যাবে তুমি। 

কোনো এক মেলার ভীড়ের মাঝে

আলাদা  হবে আমার  থেকে।

কোনো একদিন ইগোর দামে বেচে দিবে আমায়।

কোনো এক রাতের  দুঃস্বপ্ন বলে মুখ ফিরিয়ে নিবে আমার থেকে।

কোনো এক সামান্য  বাস্তবতার যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ভয়ে

ফেলে যাবে মাঝ পথে।

কোন এক দুপুরের কড়া রোদে ছাতা হাতে

দাড়িয়ে থাকার দায়িত্ব  টাকে বোঝা মনে হবে।

আমি নামক শব্দ টা বিরক্ত  নামক  শব্দে রূপান্তরিত  হয়ে  যাবে।

আমায় নিয়ে মাতা মাতি কল্পনায় জমানো ইচ্ছেরা

সব কিছু  মিলিয়ে যাবে তোমার।

সময় যখন  এক নিমিষে  রাশ টেনে নিবে তার  হাতে।

বিবেক গুলো  জেগে যাবে ঘুমন্ত পুরি থেকে।

ইচ্ছে  গুলো নতুন  ঠিকানায় বাসা বাঁধবে। 

তুমি ঠিক বদলে যাবে, রঙ বদলের  প্রতিযোগিতায়। 

ভুলে যাওয়ার  কঠিনতম রোগ বসত করবে তোমার মনে।

ভেঙে যাবে এই সম্পর্ক আমাদের। 

তাই তো নাম দিয়েছি খেলা ঘর, 

যে ঘর একটু হওয়াতেই ভেঙে  যাবে,

কোনো  অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া  যাবে না।

শুধু  পড়ে থাকবে মায়া নামক ধুলো বালির কিছু  সৃতি। 

শুধু থাকবেনা আমাদের খেলা ঘর। 

 

 

 

F কবিতার অন্তরালে। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-------------------------------------

 

আমি  চেয়েছিলাম, 

 তোমার  প্রাণে বাধিবো মোর প্ররাণ।

আমি একটা কবিতা  লিখবো বলে, 

তোমারে বেসেছি ভালো।

আমি খুঁজি  তোমারে,

হাজারো মানুষের ভিড়ে।

তোমারে নিয়ে লিখবো  বলে,

 যত্ন করে তুলে রেখেছি আধভাঙা  চোশমাটা মোর, 

সিন্দুকে জমিয়ে রেখেছি  ছন্দ  গুলো চিরকুটের ভাঁজে।

তুমি মোর  কবিতা  ঘিরে  রঙ মিছিলের আয়োজন। 

তুমি মোর কবিতা  জুড়ে বাহারি আলাপের সাজ।

তুমি মোর কবিতা  ঘিরে  করো একলা রাজত্ব। 

তুমি মোর কবিতার মাঝে  রাজপথে  হানা দাও ডাকাত বেশে।

তুমি মোর চিলেকোঠার  ঘরে, 

কবিতার মাঝে  বসত করো।

কবিতার মাঝে  আছে জমে শত শত না বলা কথা।

কবিতায় আছে জমে ভালোবাসি কতো  তোমারে।

কবিতায় আছে জমে কতোটা আহত  করেছো মরে।

কবিতায় আছে ছন্দ, 

কবিতায় আছে জীবন  মাপার যন্ত্র। 

কবিতার  মাঝে  আছে তুমি মোর জীবন  

পথে কতো দূর। 

কবিতায় আছে মোর  তোমারে খুজার কারন।

কবিতায় আছে সব  না   বলা কারণ। 

কবিতায় আছে সব যন্ত্রণা  লুকিয়ে। 

কবিতার মাঝে কবিতার চিতকার  বুঝেনা তো কেউ। 

কবিতার ভাষা বোঝার  সাধ্য কি আর সবার হয়।

কবিতেই লাগে ডর তাই তো সবাই  দূরের  রয়।

কবিতার ছন্দে যে কবি দের প্রাণ রয়।

কবিতা  হয়তো কারো সময়ের স্রোতের বন্ধু, 

আবার কারো প্রয়োজন,  নয়তো কারো প্রিয়জন।

কবিতা নয়তো  তাদের   ভালোবাসা,

তাই তো ছন্দ রা একালাই রয়।

কাব্য কে কবি বুঝে হয়তো তারা একলা।

মনে প্রানে বাঁধে কয়জন কবিতার ছন্দে।

তাইতো মোর প্রাণে বাধেনি প্রাণ, সময়ের  ছন্দে।

 

 

 

 F অভিলাষ

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-------------------------------------------

 

ভর সন্ধ্যে বেলায় সন্ধ্যে বাতির মত ভেসে আসে  সুভাস নীলে। 

মালতী  লতার ফাঁকে  বিহুর চোখে যখন তোমায় দেখি।

টেউ খেলে যায় হৃদয়  কমলে।

শূন্য  এ বুক তুমি ছাড়া। 

শূন্যে   উড়া  ওই পাখির  মত।

চলোনা প্রিয়ো  দিপান্তরে মাঠে,

হারিয়ে যাবো মোরা দুই জন  এক সাথে। 

চলোনা প্রিয়  খেয়া ঘাটে, বৈঠা হাতে মাঝি  বেশে।

চলো না প্রিয় হাটি এক সাথে, 

দিবো তোমারে হাজারো  না বালা কথা উপহার।

দিবো তোমারে,

এক রাশ ভালো বাসার প্রহর। 

চলোনা প্রিয় দীঘির পাড়ে ,

পদ্ম পানা তুলে নিবো ভর দুপুর। 

সন্ধ্যা তারা মত অন্ধকারে  দিবো,

একটু আলোর পথোরাশি।

মিটি মিটি জ্বলবো আমি, 

প্রদীপের  শিখা হয়ে ভাবি আমি দিবা নিশি। 

 যদি হাতটি মোর  ধরো ছাড়বোনা কভু,

মৃত্যু  যদি  আসে মোর দ্বারে তবু।

পরোপারে খোদার কাছে আবদার মোর একটা।

এনে দাও তাকে মোর কাছে।

কথা দিয়েছিলাম তাকে  থাকবো  মোরা এক সাথে। 

বুঝলে প্রিয়   সকলের মাঝে  খুজেছি তোমারে,

ছেড়ে  যাবার তো নয়।

যদি পাশে থাকো ধরে  শক্ত  হাতে, 

যুদ্ধ মোর আপন জনের সাথে।

তবুও  ধরে রাখো শক্ত  হাতে  ঠাই দাড়িয়ে,

জীবন  পাখি  হারিয়ে গেলে আসেনা ফিরে।

তোমায়  খাঁচায়  রাখতে চাই ধরে।

চলোনা প্রিয় কোনো এক জোছনা  রাতে, 

জোছনা মাখি মোদের  গায়ে।

প্রাণহীন, জোশ বেচা কিনার শহরে,

ভালোবাসার বৃষ্টি ঝড়েনি বহুকাল ধরে।

অনূভুতিহীন মরুভূমি মন।

তাই তো ছট ফটিয়ে মরে পিপাসায়।

 

 

 

 F তোর অবহেলায় 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

---------------------------------------

 

আকাশের চাঁদ  জানে , 

রাত জাগা একলা পাখির করুন চিৎকার। 

পরস্পর  কতো কাছা কাছি আমারা তবুও  হয়না খোঁজ। 

তুৃমি দাও দূরুত্বের রাশ,

আমি তো নাজেহাল, 

হৃদয়ে  পাথর  বিবর্ণ  ইচ্ছে   জমে সুনামির  ঢেউ,

পাহাড় সমান দুঃখ আমার জানবে না তো কেউ।  

আমি যেহেতু  ভালোবাসি তোমাকে।

তাই তুমি  আবহেলা করতেই  পারো।

গুরুত্ব  নাই বা দিতে পারো।

ব্যাস্ততার অজুহাত   দেখাতেই পারো।

আমাকে  তোমার  ভালো লাগা নাই  ভাবতে পারো।

এসব করার অধিকার  তোমার  আছে। 

ভাবতেই পারো আমি তো আছি,

তোমায় ছেড়ে যাবোই বা কই।

যোগাযোগ কমাতে পারো।

শত খুশি অপমান  করতে পারো।

আমার  সমান্য ভুলে,  

গলা বাজিয়ে  কঠিন ভাষায় বকতেই পারো।

আবার  হুট করে মিথ্যে  অপবাদ দিয়ে,

কলঙ্ক ছড়াতেই পারো।

ছেড়ে যেতেই পারো না বলে। 

এসব করার পূর্ণ  অধিকার   আছে তোমার ।

তবে এসব   অবহেলা করতে করতে ক্লান্ত  হবে যখন, 

আবার  তুমি ফিরে এসো। 

 তুমি যেমন আমি  কে ফেলে যাবে, 

পরে কি সেই আমি কে ফিরে পাবে।

সে দিনো আমি থাকবো হয়তো।

কিন্তু যাকে ফেলে গেছিলে সে  আমি কি থাকবো?  

হয়তো মারেই যাবো আবহেলা নাম মরন রোগে।

তুমি নিজ হাতে মরন বেধি  পুতে ছিলে আমার  মনে। 

আকাশ টা যখন  ভারি হয়  তখন  সে কাঁদে।

মনটা  যে তুলোর  মত তাই তো সে ভাসে।

দীর্ঘ  শ্বাস ছেড়ে  তবুও  বলি তুমি  আসো ফিরে।

উত্তাল সমুদ্র ধরে রাখতে চাই  না  আমি,  

তোমায় এক বিন্দু চোখের জ্বলে। 

 

 

 

F  কিছু ফিরিয়ে দিতে হয় 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

--------------------------------------------

 

ভালোবাসার অধিকার  দিলেই হয়না শুধু। 

কিছু ভালোবাসা ফিরিয়েও দিতে জানতে হয়।

আমি তো জড় বস্তু  বা  আর পাঁচটা সংসারের  আসবাবপত্র  না।

যে তোমার  যখন প্রয়োজন  পড়বে আমাকে ব্যবহার করবে,

কাজ শেষে  ফেলে রাখবে ধুলোবালির সাথে এক কোনে।

আমারো মন আছে   ভুলে যাও কেনো।

আবেগি ঠিক তোমার  মত, 

হাসতে আমি তোমার  মতোই  পারি।

তোমার মত কাঁদতেও যানি।

তোমার  মত আমারো কষ্ট  হয়।

আমারো ভালো বাসা চাই।

যদি ভালো নাই  বাসতে পারো

তাহলে আমার কথায় সম্মতি কেনো দিয়েছিলে?

কেনো তুমি   যোগাযোগ  রাখলে?

বাস্তবতা যদি আমাকে তোমার  সাথে না মানায়  

তাহলে এসেছিলে কেনো আমার কাছে। 

পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা  করার শক্তি  নেই তোমার,  

সব টা জেনেও কেনো এসেছিলে।

আমার  জন্য  কেনো তোমার   বুকে ব্যাথা করে?

কেনো আমার  চিন্তায় তুমি ছাট ফট করো?

তুমি কেনো আমার  ফোন কলের অপেক্ষা  করো?

তুমি কাকে ঠকাছো আমাকে?

না তোমার  ভিতরের  ইচ্ছে  টাকে?

নাকি তুমি এমনি, 

তুমি ভালোবাসা নিতে পারো,

ভালোবাসা  না দেওয়াই কি তোমার  বৈশিষ্ট্য ?

কিছু  টা ভালোবাসা  ফেরত দিতে শিখো।

তুমি কিন্তু  ফেরত দিতেই  পারো যত টুকু প্রাপ্য,

ভালোবাসা কোনো  দ্রব্য নয় , 

টাকার  অংকে বিক্রয় করা হয়না।

কিছু  ফিরিয়ে দিতে জানতে হয়,

ভালবাসার মূল্য ভালবাসা দিয়েই দিতে হয়।

 

 

 

 

F দুঃখ বিলাশ 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-------------------------------------------

 

বিচ্ছেদের  হাটে বেইচা দিলি তোর প্রেম।

গাঙ্গের পাড়ে বইসা ভাবি,

আর কি ফিরা আইবি এই বেলায়।

দেখতে  দেখতে  মেলা সময়  পার হয়া গেলো।

 বহুকাল পর মুই  বুঝবার  পানু,

মুই তোর  প্রিয়োজন নয়।

শুধু  ছিনু তোর  প্রয়োজন। 

মুই নিজেকে মেলা বুঝানু   , 

কেমবা করে শুনলো এলা। 

তোর  যে প্রয়োজন  ছিনু এতেই  মুই খুশি,

কয়জন  হবার পারে এমন কহ।

তোর বাপু গিরগিটি  ভালো লাগে,

মুইও কথা দিনু  রঙ বদলেই দেখা করুম ঠিক।

মুই তো যন্তর, 

তাই মোর কি কষ্ট  হয় কোনো কালে।

 মুই যে পুতুল তাই মোক ফেলে দেওয়াই যাই, 

খেলা শেষে,

তাই তো তোক হারায় ফেলনু।

তোর সাথে  ভেসে গেছে  মোর সব রঙ।

তোক পাওয়া আর আকাশের  চান পাওয়া দুনো টাই এক ।

মোর কি কপালে সইবে সুখ।

মোর সৃতিতে তোর ছবি আঁকা,

মুই কি মুছবার  পারো তোক।

হিসেবের খাতায় মুই বারবার ভুল অংকো কষো।

মোর জীবনটা, কেন জানি জটিলতার ভেতর আটকে  গেছে। 

মুই যতো জট খুলো,কেমবা করে আবার  পেচায়ে যায়।

মুই সাধ করে ডাকনু রংধনুক,

আস বার বেলা সাথে অনলোক বৃষ্টি । 

মোর হৃদয়  খান যত  দুঃখ সয়।

বন্ধুয়ারে  তোর  মনে,

 মরে লয়া  শীতল তরো হাওয়া বয়।

কষ্ট  দিয়া  হিয়ার  ভিতর, 

একদিনো না লইলি খবর।

সাক্ষী  ছিলো চন্দ্র তারা,

একদিন পরবি ধরা রে বন্ধু  

ত্রিভূবনের যদি বিচার হয়।

অন্ধার  রাতে  মোর নয়ন জলে ভাসে

রয়ে সয়ে কি  সবাই রয়।

হারায়ে গেনু  মুই  দুঃখের অন্তরালে। 

এক সমুদ্র দুঃখ মোর, হাসি মুখের আড়ালে। 

 

 

 

 

F  নীরব আকাশ 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-----------------------------------

 

ভীষণ  মন খরাপ  আমার, 

তুমি তো বেশ সুখেই আছো ভালো।

অভিযোগ  করবো কোথায়।

একাকীত্বরাই জানে একাকীত্বের  যন্ত্রণা। 

কত বিকেল  কাটবে আমার   একাকী  বিষন্নতায়।

আকাশ  তো মেঘলা বৃষ্টি  নামবে নামবে বলে আর নামলো না।

এই নীরব আকাশেও একদিন বিজলী বাতির খেলা,

নীল আকাশে ভাসতো কত সাদা মেঘের ভেলা। 

আজ সে আকাশ  শান্ত। 

দীর্ঘ শ্বাস ছেড়েও  অনমনে  ভেবে যাই তোমার কথা।

এই  শান্ত  বিকেল  ছিলো যে  তোমায় নিয়ে বড্ড আশার  মেলা।

আজ আমি  ভেষে যাই,

এই নীরব আকাশের  একেলায় আবেলায়।

হাত ছানী দিয়ে আগলে রাখি যে তোমাকে অনুভূতির  আদলে।

অনুসুচনায় মন বিষিয়ে যায় অপমানে তোমার। 

আজ বিকেল টা বড্ড অশান্ত, 

ঝড়ে লন্ডন  ভন্ড  করে দিতে পারে।

তাই  তো বড্ড হাওয়া দিচ্ছে   একাকীত্বের। 

এই নীরব  মন খরাপে মহামারিতে আমি   হারিয়ে যাই।

শুরু থেকে আজ শূন্য  আমি।

আজ বড্ড ক্লান্ত  আমি তোমার  অপেক্ষায়।

তুমি তো মুক্ত  আকাশে  উড়তে পারো।

তুৃমি  তো ক্ষেপে যাওয়া নদীর  স্রোত, 

বাধা দেওয়ার  ক্ষমতা  নেই আমার। 

তুমি তো রাতের  চাঁদ,

সন্ধ্যা  গড়িয়ে মাঝ আকাশে  দেখবো আমি।

তুৃমি   তো  সূর্য  ভোরের শেষে, 

ইশান কোনে জল জল করবেই।

তুমি তো  চাতক পাখি, 

আকাশের  পানে চেয়ে পানি তো চাইবে।

তুমি তো কুকিল,

বসন্ত কালে ডাকবেই।

তুমি কি আর বুঝবে আমায়?

রঙিন  আলোই চমকানো  শহর  তোমার। 

আমার  শহর ঘুট ঘুটঘুটে  অন্ধকার,

ভয়ংকর কালো।

বিচ্ছেদের  ঢেউ  গুলো ছুটে  আসে, 

আমার তীরে আঁচড়ে  পড়ে।

সুখের  সৃতিগুলো  ভেসে যায় স্রেতের সাথে, 

তলিয়ে যায় খেলা ঘর যা গড়েছিলাম আপন হাতে।

 তোমার ঢেউ-এর দোলায়  হয় আমার কূলের ক্ষয়,

 কূল ভেঙেছে আমার ধারে-তোমার ধারে নয়!

ঘর ছেড়ে বেধেছো ঘর,

ঘর পোড়া  আমি লাগে ডর।

বিলাশিতায় বিলুপ্ত  আমি, 

তোমার   নাকি নতুন  ইচ্ছে, নতুন  ঘর। 

ভেঙেছে বিষাদ   কালোই আমার  ঘর।

 

 

 

 

F কথা হয়নি বলা

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

---------------------------------------

 

শুধু  কথা বলা হয়নি বলে

কত সম্পর্ক  যে ভেঙে  গেছে। 

শুধু  একটু সময় দেইনি  বলে

তুমি দূরে গেছো চলে,

শুধু  কথা বলা হয়নি বলে

কত আপন মানুষ  দূরত্বের প্রাচীর  গড়েছে তুলে।

শুধু   একটু  কথা বলতে পারিনি দেখে

শেষ  বিকেলে পিছু ফিরে   তাকাও নি আর। 

ঠোঁটের  কথা গলায় জমে ফিসফিসিয়ে   গল্প  করে,

শুধু  কথা বলা হয়না বলে 

তোমার  আমার  মাঝে  শুধু  দূরত্ব বাড়ে।

শুধু  কথা বলা হয়নি বলে 

কাছের   সব মানুষ  গুলো এরিয়ে চলে,

শুধু  কথা বলা হয়নি  বলে

আমার  নাম্বর  টা আর ভাসেনা তোমার  কলে।

শুধু  কথা বলা হয়নি  বলে 

বন্ধু মজলিস  জমেনা  আর আমার  অগোছালো  ঘরে,

শুধু  কথা বলতে চাওনি  বলে

আজ আমি আছি তোমার  ওই ব্লক  লিষ্টটাতে পরে।

শুধু  কথা বলা হয়না  বলে

জমে থাকা অনেক জিনিস  যত্নে রাখা আমার  কাছে,

আমার  কথা শুনতে  চাওনি  বলে

কষ্ট  গুলো বুকে ভিতর  চাপা আছে। 

তুৃমি  চাওনি  বলতে কথা

তাই তো রাত্রি  জেগে নিজের  সাথেই  কথা বলি,

ডাইরি-কলম সাথে নিয়েই পথ চলি।

শুধু  কথা বলতে চাওনি বলে, 

কবিতা  গুলো আমায় নিয়ে করে তিরস্কার,

বিষাদময় জীবন ছিলো কি মোর পুরষ্কার? 

 

 

 

 

F ভয় পেওনা

@ নাবিলা তাজনূর নূহা 

-----------------------------------------

 

এতটা নিকটে তুই,

বিধাতার আশীর্বাদ।

কাকে পাবো এতো গভীরে অনায়াসে। 

হৃদয় মাপার যন্ত্র হয়ে পাশে থাকিস সারাক্ষণ। 

ভয় পাস কেনো?

কি ভেবেছিস? আমি  ছেড়ে  চলে যাবো।

তোর সমান্য ভুলে তোকে ছেড়ে  যাবো।

ছোটো ছোটো  ভুল বুঝাবুঝির  জন্য। 

এতোটা  খারাপ  আমি?

তুই  সবটা জেনেও ভালোবাসিস আমায়।

মানছি আমি  ভিষণ জেদি,

 ভালোবাসি কথাটা নিজের মুখে বলিনা,

কষ্ট  পাইলে শিকারও করিনা।

কিন্তু  অভিমান টা তো তোর জন্য হয়,

আমার  অভিযোগ  তো তোর  কাছে জমে রাখি।

তুই তো আমার  সকল কালো সত্যি  গুলো জানিস।

আমি তোর  কাছে নাটক পারিনা।

আমি জানি আমার  ধৈর্য  সামান্য, 

তবুও  তো মানিয়ে নেওয়ার  চেষ্টা  করি বল।

আমি মিথ্যে  ভালো সাজিনা তোর কাছে,

তুই কি বুঝিস কখন মানুষ  এমনটা করে?

আমি নিজেকে ঘৃণা  করলেও, 

আমি জানি তুই ভালো বাসবি আমাকে।

আমার  সজন রা সবাই  ছেড়ে  গেলেও,

তুই হাতটি ধরে রাখবি আমার তোর শক্ত হাতে, 

আমি জানি তুই নিষ্পাপ কণ্ঠে বলে উঠবি আমি আছি পাশে।

এটা আমার  দৃঢ় বিশ্বাস,

এখন তুই যদি জোড় খাটিয়ে বলতে পারিস এটা আমার  অন্ধবিশ্বাস। 

তাহলে আমি বলবো অন্ধরাও হাত ছুয়ে যাচায় করে পাশে কে।

কিন্তু  আমি তোকে যাচাই  করার মত সন্দেহ  করিনা।

আমি  মানিনা তুই হারিয়ে যাবি।

আমার  শেষ  শ্বাস  অবধি  তোকে পাশেই  নিয়ে  চলবো। 

ভাঙতে ভাঙতে  গড়েছি প্রিয় তোকে,

নতুন  করে আবিষ্কার করেছি  নিজেকে। 

হারিয়ে গিয়েও শূন্য  থেকে করছি শুরু। 

ভিষন শক্ত করে গড়েছি তোকে।

একাকীত্বের  নগরিতে তোকে নিয়ে অলোড়ন।

সাঝেঁর বাতির মতো তোর  ওই হাসি,

জমে তোর  ঠোঁটের  কোনে।

বিশ্বাস  মাখা আমার ভালবাসার ছায়ায়,

সারাজীবন থাকবি আমার চোখের মায়ায়।

 

 

 

 

F তুই কি আমার হবি? 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা

---------------------------------------

স্বপ্ন  ভেঙে  অন্ধকার কারাগার ছেড়ে, 

আলো খোজে নয়নে।

কতনা নিরুত্তর প্রশ্নের  জালে,

 শিমুল  তুই  করিস আমায় খুন।

শোকে তাপে আমি মর্মাহতও।

তুই কি কখনো  হবি  আমার ?

শমুল, হবি কি আমার  বাগানের  মালি ?

পরিচর্যা  বিনে  বহুকাল  ফোটেনি  সিউলি বকুল। 

ঘন ঘাস আর পরগাছায় যা পরিণত  অবজনায় স্তূপ। 

তুই কি আমার  বিষন্ন  ভগ্নহৃদয়ের মাঝে একটা আকাশ  হবে ?

যে আকাশে  তাঁরারা সব হারিয়ে গিয়েও 

আবারও  ফিরে আসে অঁধারে।

সন্ধ্যে বাতি হয়ে আসবি কি পূর্বাকাশে চাঁন্দ নিয়ে ?

শিমুল  তুই কি আমার  নীল কাব্য  হবি ?

নাকি আমার  কষ্ট  জমা  সুনামির ঢেউ ?

তুই কি হবি, আমার  না বলা সেই গল্প ? 

যেখানে হবেনা  কোনো   কথা,

শেষ  অধ্যায়  হয়নি  লেখা সেথা। 

তুই কি হবি, আমার ছিড়ে ফেলা সব ডাইরির পাতা ?

যে পাতার মাঝে ছিলো  হাজারো  ভুলে  গাঁথা, 

তুই নিবি কি ভাগ সেথা ?

পুড়িয়ে ফেলা সব স্বপ্নোর আজ হৃদয়ে জাগায়েছে ঢেউ, 

সেথায় আসলে তুমিই  ছিলে না অন্য কেউ।

একাকিত্বের অভিশাপে আজ জীবন নিস্তব্ধ।

আমার  নিস্তব্ধতা  শব্দ  গুলো  বেজে ওঠে  মাঝে মাঝে। 

তুই কি হবি সেই সুর,আমার জং ধরা ওই গিটারে তারে ?

মন মাতানো উৎসবে তব মাতবো উচ্ছ্বাসে।

তুই কি আমার  ভেঙে  যাওয়া  দূর্গের দেওয়াল হবি ?

ক্ষত বিক্ষত বন্দী  আত্নারা যেথায় চিৎকার  করে সময়ে অসময়ে।

তুই কি আমায় বিশ্বস্ততা দিবি ?

চঞ্চল  জলোচ্ছ্বাসে, আমার  বুকের গহীনে বয়ে যাবি ?

নিয়ে যাবি সব যন্ত্রণা ভাসিয়ে এই বেলার।

তুই কি আমার  নিঙ্গতার একালা পথিক হবি ? 

নিশিরাতে রাত জাগা  ভীনদেশি হয়ে।

তুই কি আমার  নিশ্চুপ  উঠানে  প্রদীপ  হবি ?

হবি কি অন্ধকারে কালো কালিতে আঁকা 

কোনে এক রঙহীন ছবি ?

যা আমি বারবার  মুছি আবার   আকি।

তুই কি আমার  অনন্তকাল বেঁচে থাকার কারণ হবি ?

আলোহীন ল্যাম্পপোষ্ট এর নিচে বিষন্ন বিকেল,

তুমি কি  আমার  ঠিকানা  হবে ?

ফিরে  যাওয়ার  কারণ থাকবেনা শত কাল।

হবি কি সেই ঠিকানা ?

জগৎ  জুড়ে  মিছে আয়োজন, 

কখনো  কি হয়  শূন্য  থেকে  পূর্ণের মিলন ?

পারবি কি থাকতে আমার  সাথে ?

হবি কি আমার  কাটাময়  রাস্তার পথ সাথী ?

 

 

 

 

F ফিরে এলে নতুন নামে। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-----------------------------------------

 

শরৎ বাবু, 

তুমি কি চন্দ্রমল্লিকা কে দেখেছো?

শুনেছো তার কথা?

আমায় বলে, তুমি  নাকি ভিনদেশি  বাবু? 

তুমি নাকি মরিচিকা?

তুমি  নাকি বিষাক্ত ধোঁয়া? 

তুমি নাকি মিথ্যে আবরন?

তুমি নাকি মায়া?

তাই তো  শুনলাম  কাছে যেতে বারণ?

রটিয়ে বেড়ায় বদনাম  পাড়ায়,

তাই তো সবাই  তেমন আসেনা তোমার কাছে? 

লোকে ভয় পায়।

তোমার  নাকি রক্ত চোষা অভ্যাস।

হৃদয়  টা  নাকি অনেক ক্ষুদ্র? 

তোমার  নাকি  মনের কোনে ভিষণ ক্ষত, 

দূর ছড়ায় তার বিচ্ছিরি গন্ধ। 

আমিও  শুনে  চমকে উঠলাম,  

গুটি গুটি পায়ে  যাচাই করতে এসেছিলাম তোমার  দূর্গে।

অন্ধকার  কামরার দরজা টা বন্ধ, 

খুলতেই  বাদুর উড়ে যায় কাঁধ বেয়ে।

শিহরিত গায়ে কম্পিত মন,

তোমার ঘরটা ছিলো অগোছালো ভিষণ, 

তুমি ও ঠিক এক কোনে বসে।

আমার  দিকে তাকিয়ে , 

বুঝতে পারলাম  তুমি  আজ ভিষন  একা।

আমি ঠিক চিন্তে পারলাম আবরণের  আড়ালে

আমার  চির চেনা সেই শরৎবাবু কে,

শত বছর  অপেক্ষার পর পেলাম দেখা তোমায় ছদ্ম  বেশে।

সেই  মায়া ভরা মুখ খানি আমি  রোজ ভোরে দেখি।

মাঝ রাতে স্বপ্নের জালাতনে ঘুম ভেঙে যায়।

শরৎবাবু তুমি  না সেই  এক ঘিয়েমি মানুষটা।

কামরার আলো কমছে ক্রমশ। 

তবুও স্পষ্ট  দেখা যায় তোমার ওই নয়ন।

তুমি  ভেবেছিলে  আমি মেঘ,

হয়তো  হারিয়ে যাবো নীলের মাঝে, 

নয়তো  ঝড়ে পরবো বৃষ্টির  ফোটায়।

সেদিন  আমার  বাক্য গুলো প্রচন্ড  অস্পষ্ট  ছিলো,

নিজের  ইচ্ছে টাকে যথার্থ শব্দে দিতে পারনি তোমায়।

শুধু তাকিয়ে ছিলাম মাঝে মাঝে 

করুন কন্ঠে বলেছিলাম থেকে যাও বন্ধু  হয়ে।

এই সংসারের  কি অদ্ভুত  নিয়ম,

বীজ ভেঙে হয়  চারার সৃষ্টি। 

আর মেঘ ভেঙে বৃষ্টি। 

কালের  নিয়মে এসেছো  তো ফিরে,

শরৎ বাবু   তুমি  তো সেই  নিয়মে,  

আবারো ফিরে এলে নতুন  নামে নীল হয়ে।

 

 

 

 

F তুমি যদি ভালো না বাসো?

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

------------------------------------------

 

পলাশ তুমি যদি ভালো না বাসো আমারে আর,

এই মূখে আবৃত্তি টা হবেনা আর।

আমার  মনের ছন্দেরা আর চঞ্চলতার বেকুলতা দেখাবেনা।

ছন্দ গুলো ভিষণ শান্ত হয়ে লুকিয়ে পড়বে 

কোনো এক অন্ধকার  কুঠিরে।

তুমি যদি  আমার সাথে দেখা না করো আর,

কবিতা  গুলো চিরো বিদায় নিবে আমার  থেকে,

বড্ড অবাধ্য হবে শুনবেনা  আর আমার কোন  কথা।

এই কন্ঠে তুফান বেগে বলা কথাগুলো 

অভিমান হয়ে  আর ঝড়বেনা কোনো দিন। 

তুমি যদি  ভালো না বাসো আমায়,

শুকিয়ে  মরুভূমি হয়ে যাবে সব আবেগের নদী। 

আমি আর গড়তে পারবোনা নীল কাব্য। 

ডাইরির অপূর্ণ  কবিতারা  আর পূর্ণ  জীবন ফিরে পাবেনা 

জমিয়ে রাখা কবিতার মাঝে  দেখা দিবে অনাবৃষ্টি। 

তুমি যদি  না দেখো আমায়,

আমার  চোখ  দেখবেনা আর কোন উজ্জ্বল  আলোর প্রভাতী।

ঘনো কালো আঁধারে ঢেকে যাবে চিরতরে। 

তুমি যদি না বলো কথা,

এই মর্মে  আর কবিতা অনুপ্রেরণা  জুটবেনা,

আমি আর সাজাতে পারবোনা কবিতার ঝুড়ি।

তুমি যাদি না করো আলিঙ্গন  আর

মরা নাদীতে জাগবেনা ঢেউ,

হারিয়ে যাবে সকল খুনসুটি কারণ

সেই কথা জানবেনা তো কেউ।

আমার  তীরে প্রাণের স্পন্দন মিলিয়ে যাবে

নতুন কবিতার ফসল  উঠবেনা আর,

অঙ্কুরিত হবেনা আর কাব্যের  ছোট প্রাণ

জন্ম নিবেনা কোনো  কবি আর।

বাঁচবে  না কোনা কবিতা  পলাশ,

ভালবাসা বিনে তিলে তিলে শুকিয়ে হবে জীবন্ত লাশ।

পারবোনা আর কবিতার মেলা বসাতে কোনো  উৎসবে।

আমার  আঙ্গুলের ফাঁকে কলমের যাদুর মায়া

ছড়াবেনা আমার খাতার ভাজে।

উঠানে আর আঁকবেনা  তোমার ছবি অনমনে পলাশ।

তুমি দূরে গেলে আমার থেকে

আমি কিছুতেই মানতে পারবোনা পলাশ,

আমি পারবোনা সয্য করতে কবিতাদের চিৎকার

কালো মেঘে ঢেকে যাবে আমার নীল আকাশ। 

চোখের জ্বলে ধুয়ে মুছে যাবে খাতার পাতা 

থাকবেনা আর কোনো  কাব্য  গাঁথা।

তুমি যদি  পাশে না থাক আমার, 

অনূভুতি রা  আর করবেনা গোলাপের চাষ

নতুন কোন কুঁড়ি  ফুটবেনা  আর। 

তুমি যদি  কপালে  চুম্মন না দাও  আর,

আমি পারবোনা আগের মত দু'হাতে কবিতা লিখতে, 

ভিষন একাকিত্বের অসুখে ভুগবো আমি ভিতর ভিতর। 

তীলে তীলে  শেষ  হবো জানবে না কেউ।

তুমি হারিয়ে গেলে আমার থেকে, 

পাহাড় ঘেঁষে  নীল আকাশ  আর দেখা হবেনা

অরন্য জুড়ে রক্তের  বন্যা বয়ে  যাবে পলাশ।

মনটা ভয়ঙ্কর  পিসাচে পরিনত হয়ে যাবে।

তুমি  আমায় ছেড়ে চলে গেলে,

আমি আমার সব কবিতা ভুলে  নিশ্ব হয়ে যাবো।

কবিতাগুলো হারিয়ে আমি ভিখারি হয়ে  যাবো

এই আলোকিত  নগরিতে।

ভিষন একলা হয়ে যাবো পলাশ,

ভিষণ একলা হয়ে যাবো।

 

 

F কেউ একান্তই আমায় ভালোবাসুক। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

------------------------------------------

 

আমি চাই না কেউ আমার কবিতার প্রেমে পড়ুক,

আবেগ  গুলো যখন  ছন্দের তাল খুঁজে  পাবেনা,

সংসারের  দ্বায়িত্বের কাছে অনুভূতি  গুলো চাপা পরে যাবে,

হঠাৎ  কোনো  এক  দূর্ঘটনায়  কবিতা  লেখা  বন্ধ  হয়ে  যাবে,

তখন  সে আর আমাকে ভালো বাসবেনা,

ভাববে  আমি প্রতিশ্রুতি  রাখিনা।

আমি চাইনা কেউ  আমার,  

ঘন-কালো কেঁশের প্রেমে  পড়ুক,

মরন ক্যান্সারে  চুল  হারিয়ে  গেলে

সে আর  ফিরেও তাকাবেনা আমরা পানে,

মনে মনে বলবে আমি বহুরূপী। 

আমি চাইনা কেউ  আমার কাজল কালো চোখের প্রেমে পড়ুক,

কোনো এক বাস্তবতার বেড়াজালে, কাজল না পরলে। 

বলবে হয়তো আমি প্রতারক। 

তাই  আর আমি কাজল পরিনা বহুকাল। 

আমি চাইনা কেউ  আমার  গোছালো জীবন দেখে প্রেমে পড়ুক।

কোনো এক কালবৈশাখি ঝড়ো হওয়াতে, 

একটু এদিক সেদিক এলোমেলো হলে, 

সে আর থাকবে না আমার সাথে,

তাই তো নিজেকে তেমন  গুছাইনা আর।

আমি চাই না কেউ আমরা,  

টান টান  চেহারা দেখে প্রেমে পড়ুক,

সময়ের স্রোতে   একদিন তা হারিয়ে যাবে, 

ক্রমশ বৃদ্ধের ডাকে সারা  দিবো,

কপালের  চামড়ায় ভাঁজ  পড়বে ধিরে ধিরে,

সেদিন  তার  প্রচন্ড আফসোস হবে। 

আমি কারো আফসোসের  কারণ  হতে চাই  না। 

আমি  চাই না কেউ আমার  শরীরের মোহে ভালো বাসুক,

একদিন এই শরীলটা  মাটিতে  মিশে যাবে,

সেদিন সে বলে উঠবে আমি বেইমান।

আমি চাই না কেউ আমার  ঠোঁটের ভাঁজের প্রেমে  পড়ুক,

কোনো একসময় ভাঁজটাও মিলিয়ে যাবে,

সেদিন  আমাকে তার ভুল মনে হবে।

আমি চাইনা কেউ আমার  হাসিটাকে ভালো বাসুক,

কোনো কষ্ট  হাসি ভুলে, কান্না  এলে চোখে,

তার  মনে আমায় নিয়ে করুণার সৃষ্টি  হবে।

আমি চাই না কেউ আমার শরীরের সম্পর্ক টাকে ভালো বাসুক। 

মুখের আদলে মায়া, 

সময়িক এই সুখটার মোহ মায়া কেটে গেলে,

তার দম বন্ধ হয়ে যাবে চরম কষ্টে,

আমি চাই না কারো কষ্টের কারণ হতে। 

আমি  চাই না কেউ আমাকে তার কল্পনার রানী ভেবে  ভালোবাসুক,

বাস্তবতার যুদ্ধে আহত হলে, 

তার আমাকে বোঝা মনে হবে।

আমি কারো বিরক্তের কারণ হতে চাই না। 

আমি ভিষণ  ভাবে চাই এমন কেউ আসুক,

যে আমার  ভিতরটাকে ভালো বাসুক,

শুধু বাহিরটাকে নয়।

হুম আমিও  প্রচন্ড ভাবে চাই,

আমাকে বুঝবে সে, আমার মতো করে।

আমাকে পেয়ে  তার আফসোস  থাকবেনা।

হবেনা  কোনো  অনুসুচনা।

সকল  খারাপ ভালো গুণ গুলোকে,

সে আপন করে মানিয়ে নিবে  তার সাথে। 

আমি চাই কেউ আসুক ভালো বাসুক আমাকে, 

তবে কোন মায়া মহীনিকে  নয়।

 

 

 

 

F নীল চিঠি। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

----------------------------------

 

নীল  খামে দিয়েছি  চিঠি সাদা মেঘের   ভেলায়,
হাওয়ার বেগে পাল তুলেছি তোমার অপেক্ষায়।
এই আবছায়া
  বিকেলে মুক্ত  বাতাসে  জঙ্গলি ফুলের  মুগ্ধতায়

হারিয়ে যাই একাকি নীরবে।
বাদল দিনে
  কদম ফুলের  ঘ্রাণি  অবহেলায়।
হাজারো
  স্বপ্নো বেঁধে ছিলো ঘর  তোমারি সঙ্গে  কভু,
তোমার পলকে পরেনি তবু।
 
চেয়ে ছিলাম আমি তোমার
  পানে  ভ্ররম  ছেড়ে  উঠবে জেগে।
বকুলের
  মালা গেঁথে  আশায় মোর,
শেষ
  হবে হয়তো অপেক্ষার প্রহর।
খোঁপায় গুজেছিলাম সেদিন জুঁই আর বেলি ফুলে,
ইচ্ছে
  পাখি হয়ে  কল্পনায় জানলা খুলে,
অট্ট
  হেঁসে বলেছিলো আজ মুক্তি  তোর,
আকাশ
  টা  চিৎকার  করে বলেছিলো আজ আমি শুধুই  তোর।
যেমন হাওয়ায় দুলতে থাকে সব রঙের
  ফুল,
মোর যৌবনে তুমি
  এক জলন্ত অগ্নি কূপ।
ভূবন ভোলা হাসি যেনো, মন মাতানো সৌরভ
প্রানে
  চায় আগলে রাখি  অন্ততরের ভিতর,
বলতে খুব ইচ্ছে
  জাগে নয়নে নয়নে
ভিজবে কবে প্রেমের বর্ষায় জীবন মোর।
কালের
  নিয়মে হয় যদি একটু দেখা,
প্রান
  পদ্ম তখন  জেগে দেয় সাড়া।
তোমার ওই গিটারের অবয়বে গড়া কমর খানি
আলতো করে জাপটে ধরি।
নিশ্বাসে
  নিশ্বাসে  বলি কথা,
মনবে না তো
 কোন লোক লজ্জা।

 

 

 

 

F আমার কোন বন্ধু নেই। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

-------------------------------------------

 

সত্যি  বলতে আমার  কোনো বন্ধু  নেই।

ছিলো কিছু  বন্ধু  নামক শব্দ। 

আমার  কোনো  প্রিয়  মানুষ  নেই। 

যার কাছে আমি নিজেকে ভেঙ্গেচুরে  জমা রখবো খুচরো  পয়সার  মত।

কোনো এক  প্রয়োজনে ফিরিয়ে দিবে একটা একটা করে।

এমন কোনো বন্ধু  নেই  আমার। 

যেমনটা হয়না  দূরের কোনো এক সফরে,

পাশে বসে অপরিচিত  কেউ।

ঘন্টার পর ঘন্টা  কথা বলা, 

কিছু  সময় এক সথে আড্ডা। 

আবার  হটাৎ  করে নেমে যাবে 

কোনো  এক অজানা  রাস্তার  মোড়ে, তার গন্তব্যে।  

কিছু  সময় ভাব বিনিময় হবে,

 শেষে টেলিফোন লাইন  নাম্বার  টা একে অপরের  দেওয়া নেওয়া হয় , 

তবে পড়ে থাকে কোনো  এক নোটের  পাতায়।

বন্ধু  বলতে জেনেছি যাদের  

তারাও  ঠিক  কিছু টা পথের  সঙ্গী। 

ঘন্টা পর ঘন্টা  আড্ডা হয়, 

চায়ের  বিল দেওয়ার জন্য  হাতা হাতি  হয়।

মাঝে  মাঝে  রীতিমতো  লড়াই  চলে পছন্দ  নিয়ে।

তবে কালের বিবর্তনে   একটা মিনিট  কথা হয়না,

ঢাকা পড়ে যায় ব্যাস্ত শহরের মাঝে,

হারিয়ে যায় তারা নোটের ওই নাম্বার গুলোর মত।

 মনে জমে থাকে সৃতি  তবে দেখা  হয়না আর।

বুকের মাঝে  কষ্ট  জমিয়ে,

 একা হাটতে হয় রোজ চেনা অচেনা অলি গলিতে।

বড্ড  ক্লান্তি  জমে গেছে একাকীত্বের,

তবু  আমার  নেই  কোনো বন্ধু  নামক একটা সবুজ গাছ।

দুপুরের কড়া রোদে  আগলে রাখার মত, 

ছায়া দেওায়ার মত নেই,  কোনো  বন্ধু। 

আমার  কষ্ট  গুলো কে যন্তে রেখে দিবে সিন্ধুকে। 

সত্যি এমন কোনো  বন্ধু  নেই  পাশে।

সত্যি  কোনো  বন্ধু  নেই আমার।

 

 

 

F তুমি নেই বলে। 

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

------------------------------------------

 

তুই নেই  বলে 

তুমি নেই বলে,

আমাদের  চেনা পুরনো  সেই শহরটাতে আমার আর যাওয়া হয় না,

সেই  চেনা অলিগলি, সমান্তরাল রেলপথে আর হাটা হয়না পাশাপাশি।,

বকুল তলার আড্ডাটা নতুন করে আর জমায় না।

তোমার আমার  প্রথম  চায়ের  আড্ডা  টা মনে পড়ে খুব।

প্রথম দিনের আলাপে তোমার চোখে

আমার জন্য দেখিছিলাম ভালো বাসা।

শেষ  দেখায় যাবার বেলার  আগ মূহুর্তে  , 

কেনো যানি সেই ভালোবাসা খুঁজে  পাইনি তোমার  মাঝে। 

তাই তো তোমাকে  আর বেঁধে রাখিনি,

আজ তুমি নেই  পাশে।

তুমি নেই  বলে, 

আমি আর নতুন  করে  শাড়ি  পড়ার  চেষ্টা  করিনি।

তুমি তো জানোই আমার  শাড়ির কুচি গুলো

বড্ড  এলোমেলো হয় তুমি গুছিয়ে দিবে এই আশায়, 

তুমি  নেই  বলে  চোখে আর কাজল পড়া হয় না,

কেউ চোখের পানি মুছে দিয়ে বলেনা  

আর কাঁদবিনা কাজল লেপে যাবে।

তুমি নেই  বলে,

আজ আর নতুন করে লিখিনা কবিতা। 

মনে পরে কি তোমার  আমার  কথা? 

তুমি না  নিয়ম  বেঁধে দিতে, 

কবিতা  না দিলে হবে না দেখা।

তাই তো তোমায় নিয়ে  লিখতাম বসে  কাব্য।

তুমিও  ঠিক   খুশি হয়ে বলতে তোতা পাখি।

আজ হয়তো আমার  কথা তোমার  মনেই নেই। 

কিন্তু  রয়ে গেছে  তোমার বায়না করা কবিতাগুলি।

যেগুলো ছিলো শুধু  তোমাকে ঘিরে, 

জমিয়ে রেখেছি ডাইরির পাতায় পাতায়। 

তুমি নেই  বলে,কবিতা  গুলো আর কাউকে শুনায়নি।

ঠিক আগের মত আছে সব,

শুধু  তুমি নামক মানুষটা পাশে নেই  আজ।

তুমি নেই  বলে নতুন  করে কবিতা লেখা হয়না,

দিপান্তরে মাঠে জোঁনাক পোকারা খেলেনা,

তুমি  নেই  বলে সন্ধ্যা  বাতি দেওয়া হয় না

মনের অন্ধকার কুঁঠিরে,

গাঙ্গের জলে কাগজের  নৌকা ভাসাইনা তোমার নামে,

কবুতরের  পায়ে আর আসেনা কোন প্রেমের  চিরকুট।

নতুন  ভাষা শেখেনি  ময়না-টিয়া।

তুমি নেই  শুধু  রয়ে গেছে সৃষ্টি,

কিছু  টা ঠিক  আগের  মত আছে।

রাখাল ভাই রোজ চরায় মেসের পাল।

মেয়ে গুলো জলবইতে যায় রোজ,

তবে আমায় দেখে আর হাসেনা।

চাঁদটা  রোজ আকাশে  উঠে ,

 তবে তার সাথে দেখা হয়না আর।

ভোরে আলো মাখায় না গায়ে, দুপুরটা যেনো সকাল। 

কারণ শুধু একটাই তুমি নেই  পাশে আজ।

একবার  ভালোবেসে দেখো,

একবার কাছে ডেকে দেখো

আবার  নতুন করে  আমি কিভাবে জমিয়ে রাখি সব ছন্দ।

অনায়াসে  তোমার চেখের পলকের মাঝে লিখে ফেলি কত কবিতা । 

অনুভুতি গুলোকে তোমার নামে কাব্য উপহার দেই একশত একটা।

একবার  পাশে এসে দেখো।

শুধু একটা বার হাতটা ধরে বসো পাশে।

 

 

 

 

F একটু অনুমতি দিও

@ নাবিলা তাজনূর নূহা। 

----------------------------------

 

মানুষ  কি উড়তে পারে?

আমি  কিন্তু  কল্পনায় উড়তে পারি।

আমার কাছে এক জোড়া অদৃশ্য পাখা আছে, 

সেটা হচ্ছে  তুমি। 

পুরো আকাশ  টা  আমার , 

আর আমি এক খাঁচা ছাড়া পাখি।

আচ্ছা  প্রেমে পড়লে কি এমন হয় ?

তার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে  করে ঘন্টা পর ঘন্টা। 

সারা রাত কথা বলতে ইচ্ছে   জাগে।

সব সময় তার কথা  ভাবতে ভালো লাগে।

আচ্ছা  আমার  কেনো এমন হয়।

মনে হয়  তুমি সারাক্ষণ আমার  পাশে থাকো,

ছায়ার মত মায়া হয়ে।

তুৃমি  দেখতেছো হাসতেছো মাঝে মাঝে  বকা দিতেছো।

প্রতিটা মূহুর্ত  তুমি আমার  পাশে।

তোমাতেই ডুবে থাকি  দিবারাত্রি।

তুমি কি আমার  প্রেমে পরেছো ?

তোমারো কি এমন হয় ? 

বাস্তবে  তুমি একটু তোমার  জীবনে থাকার অনুমতি  দেও।

তুমি রেখে দাও আমায় তোমার   কাছে 

আমার  সবটুকু ইচ্ছে শুধু  তোমাকেই ঘিরে। 

তুমি  কি জানো না দিন পেরিয়ে রাত আছে, 

আমিও ঠিক  তারি মত।

তুমি হারিয়ে যেওনা। 

তোমার  সব ভাঙ্গা স্বপ্ন  আমি জোড়া  লাগিয়ে দিবো,

শুধু  মাত্র তোমার  জীবনে আমায় থাকার অনুমতি  টুকু দিও।

তোমার  সব মন খারাপের কারন ভাগ নিতে চাই। 

তোমার সুখ দুঃখ, হাসি কান্না

সবকিছুর মাঝে আমি লুকিয়ে থাকতে চাই। 

তুমি শুধু  ছেড়ে  যেওনা আমাকে।

আমি তোমার  হারানো পথের আলো  হতে চাই। 

তোমার  মেঘলা আকাশটা রংধনু সাত রঙে রাঙিয়ে  দিতে চাই।

শুধু এইটুকু অনুমতি আমাকে দাও।

 


Post a Comment

0 Comments