শেষ প্রহর।

 

এই তো গোধূলি  লগন শেষ। 

সন্ধ্যে নেমে এলো এই ধারায়।

সবাই  খুঁজে আপন ঠিকানা,

তাই তো  তাদের নীড়ে ফেরার  তাড়া।

একাকি আমি পড়ে আছি। 

খোলা আকাশের  মুক্ত  পাখিটাও, 

তার আধভাঙা বাসয় ফিরছে।

সবাই  যে ফিরলো  তাদের  ঠিকানায়।

শুধু  আমি বসে আছি একা তাড়া নেই। 

তানকুড়াটার বুকে  দুই এক ফোটা অশ্রু  জোটে।

চুপ চাপ ফিরি যখন  ঘরে দেখি তুমি নেই। 

কত গান বাধি, সুর তুলি, তুমি নেই  তাই তারা মনেই রয়ে যায়।

কবিতার জাল বুনি অনমনে।

এই যে তুমি নেই    লিখে ফেলি সব অভিযোগ শুনাবো তোমায় এই আশায়।

ঘুম ঘুম পাগলামি বালিশে মাথা ডুব।

নিদ্রায়  দেখি মাথার  পাশে বশে একাকী পাহারায় তুমি।

এই যে ভাবনায় রোজ কিছু  গল্প দেই। 

ঘরহীন  আমি নেই  তুমি  পাশে।

তোমার  কি মনে চায় না দেই একটু সাড়া।

 তোমার  তরে এমন দিবস কাটে কি, 

মনে হয় কি সারাক্ষণ অনিয়মে ডেকে  যাই।

এই যে নিশি অন্ধকারে  নেই পাশে তুমি,

আমার   অসুখের  গল্প টুকু   শুনার ভয়ে এড়িয়ে যাও তুমি।

একটা বারো ঘুম ভেঙে  মনে হয়না পাগলিটা 

ভয়ে কাতরাছে না তো দূঃস্বপ্নে।

শুধু  এড়িয়ে  গেলে আমায়।

ইচ্ছে  কি হয়না ভুলে , 

একটু চুলে বিলি কেটে বলতে শুভরাত্রি।

কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা।