তোমার একটু মুখ কালো দেখলে
আমার মনে আকাশ পড়ে ভেঙে।
তোমার একটু অসুখ হলে,
আমি ভাসি দুঃখ দীঘির জলে।
তুমি শান্তিতে থাকলে,
মনে লাগে বড্ড সুখ।
হটাৎ যখন কাজের দরুন
তোমার কাধে চাপা দায়িত্বের বোঝা।
আমি তো সবি বুঝি যন্ত্র তো নই,
আমি যে ঠিক তোমার মত রক্তে মাংসে গড়া মানুষ।
পাওনা দিতে সময় আমায়,
পরোনা বলতে ভালো বাসি।
আমিও তো সবি বুঝি
আমার জন্য একটু হলে অন্তর পুড়ে।
তবুও যদি রাখতে একটু খোঁজ,
কি হয় যদি কথা হয় রোজ।
ডাক্তার হয়ে কড়া শাসন,
নিয়ম দিতাম বেঁধে।
তোমার যত প্রিয় খাবার
দিতাম রোজ রেঁধে।
ঘড়ি ওই এলাম হয়ে
জাগাতাম রোজ সকালে,
পরম মমতায় আগলে রাখতাম
রোদ পড়ে যাওয়া বিকালে।
তুমি তো বাবু স্বাধীন চেতনার মানুষ।
শরীল বড় সম্পদ।
শুনোনা কারো কোন কথা,
নিয়ম করে যে চলতে হয়
তা নিয়ে নেই তোমার কোন মাথাব্যথা।
মুক্তি কি আর পাবে,
মন না বুঝে এসব কাজে পয়সা শুধু পাবে।
জানিনা বাবু কি হয় তোমার ,
মাঝে মাঝে ভয়ে মরি,
তোমার দেখে লম্প ঝম্প।
ভুলে কেনো যাও বাপু তুমি তাড়াতাড়ি।
আমার অনুপ্রেরণা তুমি
বলছি শোনো ফিরবে ঘরে
সময় মেনে চলবে সবে
অনেক করেছো অনিয়মের পাহাড় জমা।
আমার তো কষ্ট হয় তোমায় নিয়ে।
চিন্তা বাড়ে বুকে চিন চিন করে।
কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা।
0 Comments