সেই কবেই হারিয়ে গিয়েছিলাম নতুন ঠিকানার খোঁজে।
ডাক পোস্টে চিঠি এসেছিলো বহুকাল আগে আমার নামে।
খুঁজে চলেছিলাম সেই মালিক যে দিয়েছিলো ভুল নামে আমার ঠিকানায়।
খুঁজতে খুঁজতে ঠিকানা না পেয়ে চলে আসলাম আমার ঠিকানায়।
এক যুগ পর ফিরে এলাম সেই ঘরে।
দ্বার খুলতেই বরণ করলো শতশত মাকশার জাল।
স্বাধের টিয়া বাঁসের খাচায় আজো ,
জমে আছে তক্তপোষে এক পুরু ধুলোস্তর।
দূরে দেখি কবুতর বাসা,
তারা হয়তো বসে আছে আমায় আশার অপেক্ষায়।
নিখুঁত মৃত্যুশয্যার আবেশে,
শুধু কিছু স্মৃতি চোখে ভাসে।
প্রজাপতির পাখায় ছুয়ে ছিলো বাহারি রঙের সাজে,
আমার পায়ের আলতা দিয়ে নাচতো উঠান মাঝে।
সেথায় এখন ধুলো বালির সামরাজ্য।
বইগুলো জমে আছে তাকে সরি সারি,
শুকনো গোলাপের মুখ খানও আজ ভারী।
প্রিয় সেই খাতাটাও পড়ে আছে তাকের নিচে,
হঠাৎ তোমাকে মনে ধরেছিলো তাই,
অনমনে বসে শুধুই কবিতা লিখে যাই।
ভালো লেগেছিলো তোমাকে তাই
লিখতাম গান পুরোনো খাতাটায়।
তুমি তো চাইলেনা আমাকে,
তাই তো ভুল ঠিকানা দিয়েছিলে আমাকে।
রাতভর তোমায় খুজে তাই
আলোর সীমানায় আবার মিশে যাই।
দুর অন্ধকারে তোমার কন্ঠে শোনা যায় নিরুদ্দেশে
ধুলো ঝেড়ে বুকে নিয়ে অশ্রু ঝড়ে মুসুল ধারে।
নীল খামে লাল চিঠি দিয়েছিলে সপে,
ভুল নামে এই আমার ঠিকানায়।
খুঁজতে গিয়ে সব হারিয়ে একলা আমি।
হতাশার এক পাহাড় দুঃখ মনে,
অতীত ফিরে চাওয়া শুধু হাহা কার মনে।
অন্য পরিচয় কে খুজতে গিয়ে
আমার পরিচয় আজ নিরুদ্দেশ।
ভুল নামে দিয়ে চিঠি ফিরেও তাকালোনা তুমি।
যেখানে কোনো দিন আসোনি তো ফিরে।
সব চাওয়া পাওয়া পড়ে থাক নীড়ে,
আজ হয়তো আমি হারাবো এই স্মৃতিদের ভিড়ে।
কলমে - নাবিলা তাজনূর নূহা।
0 Comments