তুমি তো সেই আলোর প্রদীপ




আমি ছিলাম ঘোর অন্ধকারে, 

হঠাৎ তুমি এলে কোন যানি  এক অচেনা রাজ্য থেকে,

তুমি এলে আলোর প্রদীপ হয়ে। 

আমার ভীষণ  রকম মন খরাপে , 

তুমি হয়ে এলে মন খারাপের ঝুড়ি।

মন খারাপের সমস্ত কারণ গুলো নিলে সব কুড়িয়ে। 

যেমন করে  ঝড়ের  শেষে কুড়ায় আম মনের  আনন্দে।

তুমিও  ঠিক  এমন করে,

আমার জীবনে  এনে দিলে  সকল ঝড়ে যাওয়া খুশি।

পেলাম খুঁজে  বাচার আনন্দ  শুধু  তোমায় ঘিরে। 

আমার  আকাশে ছিলো কালো মেঘের ঘনঘটা।

তোমার  আকাশের বিশুদ্ধ বাতাস  দিয়ে করে দিলে পরিচ্ছন্ন নীল আকাশ।

মুক্তি  দিলে কালো মেঘ।

তুমি তো সেই  স্বার্থহীন আলোর  প্রদীপ। 

আজানা ছিলো জীবন রঙ, 

হারিয়েছি সেই কবেই  রংতুলি,

আমার শিল্পহীন জীবনে হয়ে গেলে তুমি রং তুলি।

অপূর্ণ  ছবি টা আঁকলাম  আমি,

জীবন্ত  চোখ যেনো জলরাশি। 

পারতাম আমি একটু আকটু  কবিতা লিখতে, 

তুমি তো সেই কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা।

বলতে বেশ ভালো আমি,লিখতে পারি কবিতার ছন্দ, 

তুমি তো আমার সেই ছন্দ, তাই তো পাই  নতুন করে, নতুন লেখার আনন্দ।

তুমিও  বেশ  মুচকি হেসে  নাম দিলে  কবিতা  রানী।

বেঁধেছি ঘর সাগর  তীরে, সময়ের স্রোত  দিলো ঘর ভেঙে। 

অনুসুচনায়  চোখের কোনে এলো জ্বল রাশি,

তুমি  তখন ব্যস্ত হাতে নিয়ে  এলে গানের  আন্তাক  সারি।

জ্বরে কাতর  আমি  কপালে তোমার  চিন্তা  ছাপ।

তুমি তো সেই আমার আলোর  প্রদীপ। 

তুমি তো  আমার সেই  বেঁচে থাকার মন্ত্র।

আজ আমি ভীষণ  খুশি,কে পায় এমন প্রদীপ। 

অন্ধকারে  ভয় নেই  আমার , 

আছেই  তো সে পাশে হাতটি ধরে,

রাতের আকাশের চাঁদ হয়ে,

তুমি আমার আলোর  প্রদীপ।


#তুমি_তো_সেই_আলোর_প্রদীপ। 

#নাবিলা_তাজনূর_নূহা 

Post a Comment

0 Comments