আমারে তোমার জীবনে চাইলে কি,
খুব বেশি ক্ষতি হইত।
আমারে এক বিন্দু আশার আলো দেখাইলা কেন?
দেখাইলা যদি আবার নিভায়া গেলা কেন?
সারা জীবন আলো হইয়া আইলে কি,
তোমার খুব ক্ষতি হইতো?
তুমি এমন কইরা পর হইয়া গেলা কেন?
একটু খানি আপন হইয়া থাইকাই বিরক্ত হইয়া গেলা?
তুমি কেন উড়িয়ে গেলা?
শিমুল তুলার মতো?
আমি তো তোমার থেকে রাজ্য ছিনিয়ে নিতে চাই নাই।
আমারে তুমি ভয় পাও কেন?
আমি বেশি কিছু চাই নাই তোমার কাছে।
তোমার লগে মৃত্যু নদী পার হইতে চাইছিলাম।
তুমি কেন দিলা এই একাকিত্বের যন্ত্রণা?
আমারে কেন তুমি যন্ত্র কইরা আবহেলায় দূরে ঠেইলা দিলা?
খুব বেশি ক্ষতি হইতো কি আমারে একটু খানি কাছে রাখলে?
আমি তো চাইছিলাম সবুজের বুকে উপত্যকা করতে,দিতাম বসে আল্পনা?
খুব বেশি ক্ষতি হইতো কি?
আমার তুলির রঙের ছোঁয়া অনুভূতি প্রকাশ করতে,
তুমি শেষ বিকেলে খোঁজ টাও নিলানা।
কেন আমার লগে তোমার এতো যুদ্ধ?
তোমারে লইয়া আমার মনের বেকুলতা জানতে মোটেও চাইলানা?
কেন চাইলানা জানতে?
খুব বেশি ক্ষতি হইতো কি?
একটু খোঁজ খবর নিলে?
আমার কষ্টের দিন দেখার সময় নেই তোমার,
সময়ের মূল্য তোমার অনেক বইলা চইলানা,
যাবার কালে একবার পিছু ফিরাও দেখলা না।
তোমারে লইয়া তো কোনো অভিযোগ করি নাই আমি?
কেন ভুইলা গেলা?
মনটা তবুও বলে তোমার কাছে যাইতে,
তোমারে একটা বার ছুইয়া দেখতে?
বিবেক তখনই বইলা উঠে,
পাষাণের কাছে যাইতে নাই,
হে তোরে বুঝবো না,
তোরে আঘাত করবো,রক্তাক্ত কইরা নতুন করে ছুড়ে ফেলবো।
বিবেকের কথা না মাইনা তোমার লগে মৃত্যু নদী পারাই তে চাইলাম।
রাখলে একটু আবার ফিরায়া দিলা?
কেন দিলা?
খুব বেশি ক্ষতি হইতো রাখলে তোমার লগে?
কেন ভরসা করলে না,
আমি তো আমৃত্যু তোমারে লইয়া থাকতে চাই।
তুমি কেন পারলানা?
0 Comments