অসমাপ্ত উপন্যাস।

তুমি দূরত্বের  বীজ বপন করেছো,
আমি যন্তে আগলে রাখি।
মেঘে ডুবে  বিষাদের রঙ,সময়ের হাত ধরে রঙ বদলায়।
পেয়েছি কতো যন্তনা,শুনেছি কতো গল্প  কল্পনা।
তাই তো  আমি আমার  রাজত্বে  একলা।
হাওয়া বদলের  সুর ধরে সত্যিরা আজ দিশাহারা।
কবে ডুবে গেছে  গোধূলির  চর।
অকুল সমুদ্রে সাতার কেটে হয়রান,
তবুও তুৃমি নামক খরকুটো অজুহাতে মগনো।
আবহেলা নামক ব্যাবহার আর দূরত্ব  মামক  বীজ মিশ্রনে 

তৈরি  করেছো বিচ্ছেদ  নামক প্রাচীর।
তুমি এসেছিলে ধীরে ধীরে।
আর  যাওয়া  বেলা এতো গতি,
আমি তো কোনো দিক পাচ্ছি  না ,
কোথায়  হবে  তোমার  বাস।
আমি  তোমার  না বলা কথা  শুনতে পাই।
একটা রাত জাগার থেকেও,
আমি বিরক্ত  নামক বস্তু  তোমার কাছে।
নষ্টে পড়ে থাকা হাত ঘড়িটার থেকেও  আমি অবহেলিত।
তুমি নাই বা বলো মুখে।
প্রথম অধ্যায় শেষ  দ্বিতীয়  অধ্যায় বাকি।
বার বার ডেকেও  যখন  পাইনি, বুঝে যাই তখন।
আমার  মন খরাপ  তোমায় স্পর্শ  করেনা।
স্পর্শ  না করে আমার  মন খরাপের  কাব্য।
এক বিন্দু  কষ্ট  হয়না আমায় আঘাত  করতে?
আজ কাল নয়তো বা পরশু।
কিন্তু  ঠিক একদিন তোমার জীবনে এমন দিন আসবে,
প্রচন্ড  ভাবে অভাব টের পাবে নীলার।
মনে রেখো তুমি  এক অসমাপ্ত  উপন্যাস,
শেষ   অধ্যায় লিখতে  দিলেনা।
শেষ  টাকে দেখবে না বলে
যেখানে  সত্যি মিথ্যােকে আড়াল করে রাখলে।
ধামা চাপা দিলে  আমাকে,
লুকিয়ে রাখলে কথার জ্বালে।
শেষ  হয়েও যেনো,   হয়না শেষ।
এমন করে শেষের সত্যিটা আর  জানবেনা তো কেউ।
শেষটা আর  পড়বেনা তো কেউ,
অসমাপ্ত উপন্যাস।


#অসমাপ্ত_উপন্যাস। 

#নাবিলা_তাজনূর_নূহা 


Post a Comment

0 Comments