আমি এক মেঘ বালিকা।





আমি এক মেঘ বালিকা,  

ভিজবে কি আমার  প্রেমের বর্ষায় শরৎ বাবু?

তোমার   সব বড় বড় বেপার, 

আকাশ কুসুম  ভাবনা বেট।

তৈলে জলে খায়না মিশ,  আমি তহ এক  গায়ের মেয়ে।

পায়ে যে মাটিলাগে, গায়ে  সব  জঙ্গলি ফুলের সাজ।

শাড়ি খান পেচিয়ে , ছুটে  বেড়ায় যে আমার শরীর জুড়ে। 

পাখির গানে সুর মিলানো, 

হাঁসের  পালের সাথে জলখেলি।

সকল দুষ্টমির  হাড়ি  যেন আমার কাধে চেপে।

সকালে   ভোরের আলো, কুয়াশা  বিন্দু  আসল হিরা।

পুকুর ঘাটে নাইতে নামা,  সঙ্গী  আমার  কত শত।

তুৃমি  তহ বাপু শহরের বাবু, 

মিলেবানা তহ এসব  আদাব কায়দা।

তোমার  গায়ে  সব নামি দামি সুগন্ধি। 

বড় বাড়ি আছে বাবা কত শত গাড়ি।

আমার  তহ ভাঙ্গা  কুঠির। 

চাল ফুটা,  প্রদিপ খান নেভে আর জ্বলে,  

চান্দের আলোই  বিলাসিতা মোদের ঘরে। 

আষাঢ় মাসে জল করে থইথই,

ঝিঝি  পোকার ডাকে চারিপাশ হৈচৈ। 

তোমার  বাবা বড় বড় বেপার 

আশেপাশে কত সঙ্গীতের কোলাহলের। 

মাঝে  মাঝে  শহরে নাকি  হাসতে বারন,

আমার  গ্রামের  বাপু নেই  এমন নিয়ম কারণ। 

জঙ্গলের রানি আমি চিরোচেনা আমার সব অলি গলি।


কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা 

Post a Comment

0 Comments