অদৃশ্য মায়া।

 


আমাকে ছুঁয়েছ তুমি,

শরীরে  পেয়েছে প্রিয় রোদ।

যা ছিলো নিয়ম বাঁধা,

যা ছিলো লজ্জা। 

আমার যা কিছু, ভেসে গেছে  ওই বৃষ্টির  জলে।

কুয়াশার  পরে,

সব ফিরে পেয়ে যাবে এই তৃপ্তি  বোধ। 

আমাকে করেছো  উদাস তুমি,

আমি এখন  ঘর ছাড়া নীল পাখি।

বুকে রেখে মাথা, 

জানিনা কি সুখ খুঁজে ছিলে তুমি । 

এক অসুখ  আমার  রক্তের সিরায় মিশে গেছে  আজ । 

বেদনায়  বিছানায় করি যে আজ  ছটফট। 

শরীরে ছোঁয়াচে  এক অসুখ, 

কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে  আমায়।

ভয়ে মাঝে মাঝে  আঁতকে কুঁকড়  উঠি,

এই বুঝি চলে গেলো প্রাণ পাখি।

গায়ে  নেই  জ্বর , তবুও শরীর  গরম। 

তোমাকে  একটু পেয়ে, মুখে এখন  অরুচি। 

তোমাকে কাছে পাওয়া দীর্ঘ  অসুখ । 

 উপশম নেই জানা, শেষ  হবে কবে এই দহন জ্বালা।

নিভবে কবে এই শিখা  অন্তর  জালায় পুড়ছে দিবা নিশি।

বসন্ত  নয়,  নয় কুকিলে  প্রেম আহ্বান

তবুও  কেনো আজ মনে জাগছে বসন্ত মেলা।  

ফুটেনি তো আজ কোনো ফুল কেন আসে সুন্দর   সুভাস। 

জেগেছে মনে আলিঙ্গনের নিশা, 

টানছে যেনো এক অদৃশ্য  মায়া।


কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা। 

Post a Comment

0 Comments