শুকিয়ে যাবে গোলাপ


 


আগামি সেপ্টেম্বর  আসিতে আসিতে মরে যাবে বটে গোলাপ খানা।
যত্ন করে মাটিতে রোপন করেছিলাম নতুন  গোলাপের আশায়।
ফুলদিয়া, তাই তো আলতো  ছুঁয়ে দিয়েছিলুম টবে।
অনেক সার জল,কীটনাশক   দিয়াও বাঁচিয়া রাখিতে পারিলাম না।
বাঁচিয়া রাখিতে চেয়েছিলাম  একমাত্র  সাখি ,
ইহায় তো আমাদের নতুন  পথের  সূচনা করিয়াছিলো।
মোদের সঙ্গে  ঘুরিয়ে  ছিলো সারা শহর।
প্রকৃতি মাঝে মোরা করেছিলাম কত খুনসুটি।
মোদের  মনের  কথা প্রকাশ  করেছিলো  এই গোলাপগুলি।
মিষ্টি  হাসির সোল  দেখিয়াছিলো এই গোলাপ গুচ্ছ।
বেদনা ভুলে সুখ এনে দিয়াছিলো মোদের।
দুই দেশের  পরশ মিলেছিলো তাহার কাটা ভরা ডালে, উষ্ণতায়  নেতিয়া পরেছিলো ফুল গুলি।
মোদের  সেই দুপুরের  রোদে  হুট নামানো রিকশার  সকল আলাপে সাথী।
মোদের  কথা শুনেছে  প্রকৃতি।
মানুষ  জানতেও  পারেনি মোদের আগমন।
তারা তখন ব্যস্তায় ঘুমিয়ে ছিলো,
বুঝতে  পারেনি নতুন  কোনো এক সম্পর্কের সূত্র   তৈরি  হয়েছিলো।
মানুষ জানতেও পারেনি,
প্রকৃতি  কিন্তু  ঠিক  বুঝতে  পেরেছিলো।
ওই তিন চাকার গাড়ি, বয়ে চলা নদী। 
মোদোর  কে স্রোতের  টানে বয়ে নিয়ে গেছিলো,
গভীর   কোনো এক  রঙের  ভিড়ে
কেউ  দেখেনি?
কতো সুন্দর  দুই  ফোয়ারার নহর ছুয়ে গেছে  দুপুরের কড়া রোদে।
ডানা খোলা দুই প্রজাপতি রঙ মিছিলে হারিয়ে  গেছিলো শহরে।
কাক ডাকা ভোরে   ফোটে কতো ফুল মানুষ  তখন ঘুমিয়ে।
কত সুন্দর  তারা ঘ্রাণ  ভিষণ মনোমুগ্ধকর।
মানুষ  জানতেও পারেনা।
মোদের মন  মিশেছিলো প্রকৃতি টানে,
শাড়া দিয়াছিলো তার ডাকে।
অচেনা কোনো  সুরে নেঁচেছিলো প্রাণ।
নতুন  আলোয় রচনা হইয়াছিলো নতুন এক
গীতি কাব্য  অন্তরে।

কলমে - নাবিলা তাজনূর নূহা। 

Post a Comment

0 Comments