কারো আসার কথা ছিলো না।
কেউ আসেনি?
তবুও আমি জানালায় তাকিয়ে থাকি।
কেউ আসবেনা?
তবুও কেন মন খারাপ হয়।
বাহিরে যে কোনো শব্দ শুনেই,
ছুটে গিয়ে দরজা খুলি।
দেখি কেউ নেই।
মাথা নিচু মনে এক অকাশ কালো মেঘ জমে।
দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলি আমি তহ নিমন্ত্রণ করিনি কাউকে।
ধিরে ধিরে রুমে যাই,
ঘরটা সাজিয়ে সুন্দর সাজে।
রান্না করি নতুন নতুন পদের,
মনে আচমকা হাওয়ায় ভেসে আসে কারো ডাক ।
জানালার পার্দ তুলে দেখি কেউ না।
কেউ ডাকেনি আমায়।
একাকিত্বের রোগ নিয়ে আয়নার সমনে দাড়াই,
নিজেকে দেখতে মনে হচ্ছে ২০ পেরিয়ে গেছে,
চোখের নিচে কালো দাগ,রাত জাগার করানে।
চুল গুলো সব এলে মেলো,
নিজের কথা ভাবিনি কত দিন।
দেখিনি তাকিয়ে নিজের মাঝে আমি টাকে।
হঠাৎ আয়না ভেসে উঠে প্রতিচ্ছবি ,
আয়না বলে সাজবি নাকি সেই পুরো নীলাশা।
আমি চোখের জ্বল মুছে বললাম,
পারবো না তহ আর উঠে দাড়াতে।
আমার অনুপ্রেরণা করেছে যে বিশ্বাস নিয়ে খেলা।
আমি তহ পঙ্গু নিজের পায়ের উপর নেই ভরসা, হোটচ খেয়ে মুখ থুবড়ে পড়ি।
আয়না বলে, তুমি বটে নরম মানুষ,
এই পৃথিবীতে সবাই মুখোশ পড়ে।
আমি তহ আয়না দেখতে পারি ভিতরটা।
তুমি আজ মুখোশ পড়ো
দরজা খুলে বাহিরে যাও।
সূর্যের মত আলো দাও
মাঝে মাঝে তাপও দাও।
বুঝবে লোকে,জানবে লোকে,
চিনবেনা তো কেউ,
মনে তীরে আঁচড়ে পড়ে কত শত ঢেউ।
কলমে- নাবিলা তাজনূর নূহা।
0 Comments