আমি দূর থেকে দেখেছি তাকে।
তার মনটা তুলোর মতো নরম কোমল।
সাদা মেঘের প্রলেপ যেন তার শরীরে,
হাসির সোল উড়ছে তার মুখের আদলে।
শিমুল ফুলের মতো সুগন্ধি ছড়ায় না।
কোনো মৌমাছির আনাগোনার ভায় নেই।
মধু পাহারার প্রহরী হবার তাড়া নেই।
রুপকথার রাজকুমার যেমন সুদর্শন ।
শীতের মিষ্টি রোদে মতো, তার কথা বলার ধাঁজ।
রঙ বেরঙের স্বপ্নের চন্দ্রদীপ
গোধূলির শেষ প্রহর।
আলো কমছে ক্রমশ, সন্ধ্যা হবার তাড়া।
দূর থেকে ভেসে আসে ঝাপসা নীল।
কিছু কথা কিছু সৃতি বড্ড মনে লাগার মত।
কিছু টা অস্পষ্ট।
সত্যি কি অস্পষ্ট, নাকি ঝাপসা, নাকি নয়?
সেই সময় যখন সে আশেপাশে ছিলো আমার।
প্রথম পলকে যেনো এক আকাশ ভালো লাগায় মন সাড়া দিয়েছিলো।
এক মুহুর্তের জন্য প্রেমে যেন তার নীল সাগরের প্রতিচ্ছবি।।
তার ভাবনায় সাগরে ঢেউ গুণতে গুনতে কখন যে
মাঝ সমুদ্রে গেছি খেয়ালি করিনি।
ঢেউ গুলো ফিরে দিচ্ছে, তার বিপরীতে।
আর যাবার বেলায় বলো অপেক্ষা করতে,
সে আসবে।
সত্যি কি আসবে?
যদিও আসে, পরন্ত বিকেল কেনোই বা গেলো?
আমি তো পিছু নিয়েছিলাম,
কেনোই বা ফিরিয়ে দিলো?
তার বাগানে কি সত্যি প্রহরীর নেই কাজ।
মৌমাছির নেই বলে তাড়িয়ে দিলো নাতো?
গোধূলির তারায় কি ভুল নয়নে আমি,
সে কি সময়ের হাত ধরে চলতে চায়, নাকি আমার।
আমার তো সময়ের সাথে আড়ি,যুদ্ধ করেছি বার বার,
আবার সময়ের কাছে হেরে যাবো না তো আমি?
আমি কি ভুল করলাম?
আমি তো তার চোখে আমার জন্য প্রেম দেখেছি।
আমি তো দেখেছি ঘাড় নারিয়ে আমার ডাকে সারা দিয়েছে সে।
যদিও ডুবে যাচ্ছি চোরা বালির তলদেশে।
প্রশ্ন হাতে শেষ প্রান্তে খুঁজে কি সে।
নোটিশ গুলো যেখানে জীবন জড়।
পরাধীন সব স্বপ্নের সীমান্ত রেখার চুড়ান্তে।
সে পারবে কি আদৌও সে কথা জানতে?
মনে পরবে কি পরন্ত বিকেলের অনুভুতি?
0 Comments