খবর তো রাখেন না কিছু।
আজ আমি নামক বিরক্ত থেকে মুক্তি।
আপনি তো আদালতে মামলা করেছিলেন,
আমায় নিয়ে?
আমি নাকি সব নষ্টের মূল।
আজ আমার কাছে চিঠি এসেছে উপর মহল থেকে।
কত কঠিন কঠিন উজড় আপত্তি,
কতো নালিশ আমায় নিয়ে।
ডেকেছে আমায় বিচার পতি
বাস্তবতা নামক হাই কোটে।
মন অনেক লজ্জিত, কি বেহায়াপনায় না করেছে সে।
আপনার আবহেলা গুলো স্বাক্ষী দিচ্ছে।
ভালোবাসা গুলো নাকি একান্তই আমার।
আপনি দূরত্ব বাড়াতে চান,আবহেলা তো তাই বলে।
তখন বিবেক গুলো বলছে
বিবেচনাকে নিষেধ করেছিলাম শুনেনি কথা।
আবেগ গুলোকে নিয়ে বসলাম,
সব শেষে ইচ্ছেরা বলে আমায় কষ্ট করে মানিয়ে নে।
অভিমান গুলো বলছে মুক্তি দে।
স্বপ্নেরা বলছে আনায়াসে ছন্দে যারা গড়তে পারে কাব্য,
তাদের পাশে কেউ থাকেনা,
চলতে হয় একলা এটাই নাকি তাদের ভাগ্য।
কল্পনারা বলছে তাই,
হারানো সুর যদি কুড়িয়ে পাওয়া যেতো দিপান্তরে।
তাহলে তুইও রাখতে পারতি বেধে তাঁকে শত পাহারার মাঝে।
এতো কঠিন নালিশ তোকে নিয়ে তার রাজ্যে,
কেমনে থাকবি সাথে, এতো ছোটো হয়ে।
জোর করে কেমনে রাখবি ধরে,
সে তো চায় না থাকতে তোর সাথে।
কবিতা গুলো উঠছে ভেসে,
যে তোরে বুঝতে পারেনি কাব্যের ছন্দে।
মন তো এতো কিছু বুঝেনা,
বলছে সে ইগোর কাছে হেরে যাচ্ছে সে।
হৃদয় মানছেনা,বলছে তার হৃৎস্পন্দন এই বুকে। ভাবছি আমি করবো কি,নালিশ গুলো বড্ড কঠিন।
তাই তো তাকে মুক্তি দিলাম খোলা আকাশের মাঝে।
শিল্পীরা যেমন বেঁচে থাকে তাদের শিল্পের মাঝে।
আমি না হয় বেঁচে থাকবো আমার গড়া নীলকাব্যে।
মুক্তি দিলাম আপনাকে,মুক্তি দিলাম জীবন যুদ্ধে।
খুলে দিলাম কাব্যের বন্ধন।
উড়িয়ে দিলাম ছন্দ গুলো।
সৃতি গুলো বড্ড শক্ত,পিছুটানে বার বার।
বোঝা পড়ার হিসাব কষে নিজেই আজ শূন্য।
তাই তো দিলাম আজ মুক্তি।
আহত মনের দেওয়ালে মাথা ঠুকে মায়া।
তবুও আনবোনা টেনে আর কাব্যের ছন্দে।
মিটিয়ে দিয়ে দেনাপাওনার চুক্তি,
দিলাম তোমায় মুক্তি।
0 Comments